বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণে কাউন্ট-ডাউন শুরু

বিশ্বের ৫৭তম স্যাটেলাইট ক্ষমতাধর দেশ হিসেবে মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর ডানা মেলার অপেক্ষার অবসানের প্রহর গুণছে বাংলাদেশ। আবহাওয়া ও পরিবেশ অনুকূলে থাকলে আগামী ৭ মে মহাকাশে যাত্রা শুরু করবে এ স্যাটেলাইট। ইতোমধ্যে কাউন্ট-ডাউনও শুরু হয়েছে।

বাঙালির এই স্বপ্নযাত্রার অপেক্ষা আর মাত্র সাতদিন; ছয় ঘণ্টার প্রায়। দেশের প্রথম এ কৃত্রিম উপগ্রহ যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা স্পেসএক্সের ‘ফ্যালকন-৯’ রকেটে করে মহাকাশের উদ্দেশ্যে উৎক্ষেপণ করা হবে ৭ মে।

ওই দিন যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় সকাল ৮টায়, (বাংলাদেশ সময় ৮ মে দুপুর ২টা) স্পেসএক্সের ‘ফ্যালকন-৯’ এ করে মহাকাশে যাবে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১।

তবে আবহাওয়া ও পারিপার্শ্বিক বিভিন্ন কারণে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের নির্দিষ্ট তারিখ আগে থেকে বলা সম্ভব নয়। এর আগে কয়েক দফায় স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের তারিখ পেছানো হয়। এপ্রিলের প্রথম থেকে দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে অর্থাৎ ৭ এপ্রিল থেকে ১৫ এপ্রিলের মধ্যে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা হবে বলে জানানো হলেও পরে তা পিছিয়ে ৪ মে করা হয়।

কিন্তু পরদিন ৫ মে আবহাওয়া প্রতিকূলে থাকতে পারে; এমন শঙ্কায় ৭ মে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণ করা হবে বলে জানায় স্পেস এক্স।

উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট খরচ হচ্ছে ২ হাজার ৯০২ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে দেয়া হচ্ছে ১ হাজার ৫৪৪ কোটি টাকা। আর ঋণ হিসেবে এইচএসবিসি ব্যাংক বাকি ১ হাজার ৩৫৮ কোটি টাকা দিচ্ছে।

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের মোট ৪০টি ট্রান্সপন্ডার থাকবে। এর মধ্যে ২০টি ট্রান্সপন্ডার বাংলাদেশের ব্যবহারের জন্য রাখা হবে। বাকি ২০টি ট্রান্সপন্ডার বিদেশি কোনো প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রির জন্য রাখা হবে।

এই কৃত্রিম উপগ্রহ স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল, ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান, ভি-স্যাট ও বেতারসহ ৪০ ধরনের সেবা দেবে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ ট্যারিস্ট্রিয়াল অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হলে সারা দেশে নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ ব্যবস্থা বহাল থাকা, পরিবেশ যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে ই-সেবা নিশ্চিত করবে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট।