বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ, ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা

চলতি মাসে কয়েক দফা তাপপ্রবাহের পর রেশ কাটতে না কাটতে এগিয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড়। বঙ্গোপসাগরে একটি গভীর নিম্নচাপের সৃষ্টি হয়েছে, যেটি আরো ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন আবহাওয়া অধিদপ্তর।

রোববার (২৮ মে) আবহাওয়াবিদ আবদুর রহমান খান জানান, নিম্নচাপটি সোমবারের (২৯ মে) মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়ে উত্তর দিকে অগ্রসর হতে পারে। এজন্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দর সমূহকে ১ (এক) নম্বর পুনঃ ১ (এক) নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, এটি রোববার সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৬০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭০০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল।

গভীর নিম্নচাপটি আরো ঘণীভূত হয়ে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার মধ্যে সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়ে আরো উত্তর দিকে অগ্রসর হতে পারে।

আবহাওয়ার সবশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।

উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

সর্বশেষ গত ১৫ এপ্রিল দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হয় এবং পরদিন তা ঘূর্ণিঝড় ‘মারুথা’য় রূপ নিয়ে দক্ষিণপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম করে।