‘বনানীর ধর্ষণ মামলার তদন্তে পুলিশের ওপর কোন ধরনের চাপ নেই’

বনানীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ মামলা তদন্তে পুলিশের ওপর কোন ধরনের চাপ নেই বলে মন্তব্য করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, অপরাধী যেই হোক তাকে আইনের অাওতায় নিতেই হবে। সেকারণে অপরাধের তালিকা থেকে সংসদ সদস্য বাদ যাচ্ছে না এমন কি মন্ত্রীর ছেলেও বাদ দেওয়া হচ্ছে না।

রোববার রাজধানীতে একটি অনুষ্ঠান শেষে তিনি বলেন, বনানীর ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সেভাবেই কাজ করছে। এই ঘটনার ক্ষেত্রে নিরাপত্তা বাহিনী ও পুলিশ বাহিনী সুন্দর ও স্বাধীনভাবে কাজ করছে। কোন ধরণে চাপ বা অনুরোধ নেই তাদের কাছে।

গত ২৮ মার্চ বনানীতে দ্য রেইনট্রি হোটেলে বন্ধুর মাধ্যমে এক জন্মদিনের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হন বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রী। এরপর অভিযুক্তরা ওই ঘটনার ভিডিও ধারণ করে রাখে।

যাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে, তাদের একজন আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদ সেলিমের ছেলে সাফাত আহমেদ। প্রাণনাশসহ বিভিন্ন হুমকি উপেক্ষা করে ঘটনার একমাসের বেশি দিন পর ওই দুই তরুণী ৪ মে বনানী থানায় ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করতে যান।

তবে থানা পুলিশ মামলা না নিয়ে তাদেরকে হয়রানী করে বলে অভিযোগ ওঠার ৪৮ ঘণ্টা পর ৬ মে ওই অভিযোগ লিপিবদ্ধ করে।

গত ১১ মে সাফাত ও তার বন্ধু সাদমান সাকিফকে সিলেট থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর দিন আদালতে তোলা হলে আদালত সাফাতকে ৬ দিন এবং সাদমান সাকিফকে ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

১৫ মে সাফাতের দেহরক্ষী রহমতকে গুলশান থেকে এবং ড্রাইভার বিল্লালকে নবাবপুর থেকে গ্রেফতার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পরে রহমতকে ৩ দিন এবং বিল্লালকে ৪ দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ।

আর ১৭ মে এ মামলার অন্যতম আসামী নাঈম আশরাফ ওরফে আব্দুল হালিমকে মুন্সিগঞ্জের লৌহজং থেকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ তাকে ৭ দিনের রিমান্ডে নেয়।