বাংলাদেশকে সাইবার নিরাপত্তা দিবে ভারত

বাংলাদেশের সঙ্গে সাইবার নিরাপত্তা সহযোগিতা দিতে চুক্তি অনুমোদন করেছে ভারত। বাংলাদেশ ও ভারতের একটি যৌথ সাইবার সিকিউরিটি কমিটির মাধ্যমে এই সহযোগিতা বাস্তবায়িত হবে।

গত ১২ জুলাই ভারতের কেন্দ্রিয় মন্ত্রিসভা এই অনুমোদন দেয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। বৈঠকে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সাইবার নিরাপত্তা সহযোগিতা বিষয়ক সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) অনুমোদন দেয়া হয়। গত ৮ এপ্রিল বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নয়াদিল্লি সফরকালে ওই এমওইউ সই হয়।

ভারতের ‘ইলেক্ট্রনিক্স ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়’র অধীন ‘কম্পিউটার ইমারজেন্সি রেসপন্স টিম’ (সিইআরটি) এবং বাংলাদেশের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ‘বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল’র অধীনে থাকা কম্পিউটার ইনসিডেন্ট রেসপন্স টিম (বিজিডি ই-গভ সিআইআরটি) এই এমওইউ বাস্তবায়ন করবে।

ভারতের ইলেক্ট্রনিক্স ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশের ‘কম্পিউটার ইনসিডেন্ট রেসপন্স টিম’-এর মধ্যে সহযোগিতার মাধ্যমে সাইবার হামলা ও সাইবার নিরাপত্তা-সংশ্লিষ্ট ঘটনাগুলোর তথ্য বিনিময় করা হবে। এই এমওইউ’তে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর নিজস্ব আইন ও বিধি অনুযায়ী সমতা, পারস্পরিক অধিকার ও সুফলের ওপর ভিত্তি করে সাইবার নিরাপত্তা প্রযুক্তিগত সহযোগিতা, সাইবার নিরাপত্তা নীতি বিনিময় এবং এ খাতে সর্বোত্তম অনুশীলন ও মানবসম্পদ উন্নয়নের কথা বলা হয়েছে।

জেআইএন অনুমোদন

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও সুরক্ষা’র জন্য ভারত সরকার জয়েন্ট ইন্টারপ্রিটেটিভ নোটস (জেআইএন)-এরও অনুমোদন দিয়েছে। বর্তমানে দু’দেশের মধ্যে চুক্তিগুলোর ব্যাখ্যা হলো এসব নোটস।

মন্ত্রিসভার এক বিবৃতিতে বলা হয় বিনিয়োগ চুক্তি ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে জেআইএন গুরুত্বপূর্ণ সহায়ক ভূমিকা পালন করে। বিবৃতিতে বলা হয়, কোন রাষ্ট্রের এ ধরনের সক্রিয় ভূমিকার কারণে সালিশ ট্রাইব্যুনালের পক্ষে চুক্তিগুলো সাবলিল ও সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে অধ্যয়ন করার সুযোগ হয়।

জেআইএন’র মধ্যে রয়েছে, বিনিয়োগকারীর সংজ্ঞা, কর অবকাশ ব্যবস্থাদি, ন্যায্য ও সম আচরণ (এফইটি), ন্যাশনাল ট্রিটমেন্ট (এনটি) ও সবেচেয়ে অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত রাষ্ট্র (এফইটি), বাজেয়াপ্তকরণ, একান্ত নিরাপত্তা স্বার্থ এবং বিনিয়োগকারী ও চুক্তিবদ্ধ পক্ষের মধ্যে বিরোধ নিষ্পত্তি।