বাংলাদেশের মহানুভবতা বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছে : প্রধানমন্ত্রী

মিয়ানমার থেকে গণহত্যা ও নির্যাতনের মুখে আসা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় এবং তাদের সহযোগিতায় এগিয়ে এসে বাংলাদেশ সরকার ও জনগণ যে উদারতা ও মহানুভবতার পরিচয় দিয়েছে তা বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শুক্রবার নিউইয়র্কে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। জাতিসংঘের ৭২তম অধিবেশনে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের যোগদান সম্পর্কে জানাতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে এবারের নিউইয়র্ক সফরের বিস্তারিত তুলে ধরেন। এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীসহ বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

লিখিত বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘গতকাল আমি জাতিসংঘের ৭২তম অধিবেশনের সাধারণ বিতর্ক পর্বে অংশ নিয়েছি। আমি আমার বক্তৃতায় রোহিঙ্গাদের সমস্যার কথা জোরালোভাবে তুলে ধরেছি। রোহিঙ্গা সমস্যার স্থায়ী সমাধানে দ্রুত কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের জন্য জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অনুরোধ জানিয়েছি।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশন চলাকালে সাইডলাইনে আমি বেশ কিছু দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেছি। জাতিসংঘের মহাসচিবের সঙ্গে গতকাল আমার দ্বিপাক্ষিত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা প্রদানের পাশাপাশি এ সমস্যার রাজনৈতিক সমাধানের উদ্যোগ নেয়ার জন্য আমি মহাসচিবকে অনুরোধ জানাই। রোহিঙ্গা বিষয়ে তিনি যে উদ্যোগ নিয়েছেন এর জন্য আমি তাকে ধন্যবাদ জানাই এবং মিয়ানমারে অতিসত্তর ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন পাঠানোর অনুরোধ করি।’

প্রধানমন্ত্রী জানান, এছাড়া ভুটানের প্রধানমন্ত্রী, নেদারল্যান্ডের রানি, এস্তোনিয়ার রাষ্ট্রপতি, কসোভোর রাষ্ট্রপতি, নেপালের প্রধানমন্ত্রী, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার মহাপরিচালক, জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাই কমিশনার, বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির নির্বাহী পরিচালক এবং আইবিএম এর প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তার দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এবারের অধিবেশনে আমি রোহিঙ্গা সমস্যা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে তুলে ধরার পাশাপাশি এ সমস্যা সমাধানে মুসলিম বিশ্বসহ সবার সহযোগিতা কামনা করি।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘সামগ্রিকভাবে এবারের জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে শান্তি, নিরাপত্তা ও উন্নয়নে অগ্রযাত্রায় বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের অবদান ও ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল ও সুসংহত হয়েছে।’