বাংলাদেশ বিশ্বজয়ী হতে পারে, বলছেন সাকিব

একটা সময় ছিল যখন জয়-পরাজয় নয়, বাংলাদেশ দলের কাছে অংশগ্রহণই ছিল বড় কথা। দিন বদলেছে। এখন বাংলাদেশ মাঠেই নামে জয়ের জন্য। বিদেশের মাটিতে এখনো দুর্দান্ত না হলেও নিজেদের ডেরায় বাংলাদেশ যে ভয়ংকর এক দল, ব্রিটিশ পত্রিকা গার্ডিয়ানকে সেটিই বলেছেন সাকিব আল হাসান।

১৯৯৯ থেকে ২০০৪—এই সময়ে ৭২টি আন্তর্জাতিক ম্যাচের ৭১টিতে হেরেছে বাংলাদেশ দল। এর তিন বছর পর টেস্ট অভিষেক সাকিবের। গত ১০ বছরে বাংলাদেশ দল যতটুকু এগিয়েছে, তাতে অবদানের শতাংশে সবচেয়ে এগিয়ে থাকবেন সাকিবই। সর্বশেষ ইংল্যান্ডে আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির শেষ চারে খেলেছে বাংলাদেশ। গত বছর ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডকে টেস্টে হারানোর পাশাপাশি এ বছর সাদা পোশাকে জয় এসেছে শ্রীলঙ্কার মাটিতেও। সাকিব বলছেন, এই সাফল্যের পেছনে অবদান আছে বিদেশি কোচ, খেলোয়াড়দের পেশাদারি ও ফিটনেসের উন্নতি, দেশের ক্রিকেট অবকাঠামোয় বড় অঙ্কের বিনিয়োগ ইত্যাদি। কিন্তু সাকিবের মতে ব্যর্থতার দিনগুলো পেছনে ফেলে আসার পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে খেলোয়াড়দের উত্তুঙ্গ আত্মবিশ্বাস।

ওয়েস্ট ইন্ডিজে ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (সিপিএল) খেলতে গিয়ে ‘গার্ডিয়ান’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সাকিব বলেছেন, ‘নিজেদের সামর্থ্য আছে, তা জানতাম। কিন্তু আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর দরকার ছিল, যা শুধু জয় থেকেই পাওয়া সম্ভব। এই মুহূর্তে দলের কারও আত্মবিশ্বাসে ঘাটতি নেই। এখন মনে করি, ঘরের মাঠে আমরা অপরাজেয়। কার সঙ্গে খেলছি, তাতে কিছু যায়-আসে না। এ বিশ্বাসটাই আমাদের পরিণত করেছে ভালো ও জয়ী দল হতে।’

সাকিবের বয়স এখন ৩০। বাঁহাতি অলরাউন্ডার দলে থাকতেই কি বাংলাদেশ ছুঁতে পারবে একটা বৈশ্বিক শিরোপা। স্বপ্ন দেখাচ্ছেন সাকিব, ‘আমি মনে করি, আমরা বিশ্বজয়ী হতে পারি। ২০১৯ বিশ্বকাপে আমাদের খুব ভালো সম্ভাবনা আছে। যদি না হয় ২০২৩।’
বিশ্বকাপ দেরি আছে। আপাতত নাকের ডগায় অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ। এই সিরিজ খেলতে সিপিএলে মাত্র তিন ম্যাচ খেলেই দেশে ফিরেছেন সাকিব। ২৭ আগস্ট মিরপুরে শুরু হবে প্রথম টেস্ট। বাংলাদেশের বর্তমান দলটির কোনো খেলোয়াড়েরই অভিজ্ঞতা নেই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট খেলার। সিরিজটা নিয়ে সাকিব বেশ রোমাঞ্চিত, ‘এই দলটার কেউ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট খেলেনি। এটা হবে ভীষণ রোমাঞ্চকর।’