বাতজ্বর, কৃমির জন্য উপকারি করলা

খেতে খুব তেতো, কিন্তু করলার গুণ অনেক৷ যা কিনা দূর করতে পারে অনেক কঠিন রোগ৷ চলুন জেনে নেওয়া যাক, প্রতিদিন করলা খেলে কী কী উপকার পাবেন!

১। এ ক্ষেত্রে চার চা-চামচ করলা বা করলার পাতার রস একটু গরম করে সেই সঙ্গে এক-দেড় চা চামচ বিশুদ্ধ গাওয়া ঘি মিশিয়ে ভাতের সাথে খেতে হয়।

বাতের ক্ষেত্রে খুবই উপকারি এই পদ্ধতি ৷

২। অনেক সময় ম্যালেরিয়া জ্বরেও পিত্ত শ্লেষ্মার বিকার হয়। এর প্রধান উপসর্গ হলো, পিপাসা ও বমি; এ ক্ষেত্রে করলার পাতার রস এক চা চামচ একটু গরম করে অথবা গরম পানির সঙ্গে মিশিয়ে সারা দিনে ২-৩ বার করে খেলে জ্বরের উপসর্গগুলো চলে যাবে ও জ্বরের প্রকোপও কমে যাবে।

৩। গুঁড়ো কৃমি এ ক্ষেত্রে করলার পাতার রস বয়স্ক হলে ১-২ চা চামচ এবং শিশু হলে আধা চা চামচ সকালে ও বিকেলে অল্প পানিতে মিশিয়ে খেতে হয়।

৪। এ রোগের লক্ষণ হলো বিকেলে চোখ-মুখ জ্বালা করা, নাক-মুখ দিয়ে গরম নিঃশ্বাস-বের হওয়া, মুখে স্বাদ না থাকা। নোনা স্বাদ ও ভাজাপোড়া জিনিসে রুচি বেশি এ ক্ষেত্রে বুঝতে হবে, রক্তবহ স্রোত দূষিত হচ্ছে এবং এর আধার প্লীহা বিকারগ্রস্থ হচ্ছে। এ সময় করলা বা করলা পাতার রস দুই চা চামচ একটু গরম করে সিকি কাপ পানিতে মিশিয়ে দিনে দু-তিন বার খেতে হয়। এভাবে পাঁচ-ছয় দিন খেলে অসুবিধাগুলো আস্তে আস্তে চলে যাবে।

৫। পিত্ত শ্লেষ্মাজনিত এ বাত রোগের লক্ষণ হলো অমাবস্যা, পূর্ণিমা এবং একাদশী এলে হাত-পা-কোমর, সারা শরীরে ব্যথা যন্ত্রণা হয়; ব্যথা নিবারক বড়ি খেয়ে চলাফেরা করতে হয়; শীতকাল এলে কথাই নেই, তবে গরম বেশি পড়লে ব্যথা-বেদনা ও যন্ত্রণা একটু কম হয়। এ ক্ষেত্রে করলা বা তার পাতার রস ৩ চা চামচ গরম করে অল্প জলে মিশিয়ে দিনে ২ বার করে খেলে এ অসুবিধা চলে যায়।

৬। বৈদিক শাস্ত্র মতে, পিত্ত শ্লেষ্মার বিকার না হলে অরুচি রোগ হয় না। এ ক্ষেত্রে এক চা চামচ করে করলার রস সকাল ও বিকেলে খেলে দোষটা চলে যায়।

৭। যাদের কোনো জ্বালা-যন্ত্রণা ছাড়াই পায়খানার সাথে টাটকা রক্ত পড়ে, অথচ অর্শ্বরোগ নেই এ ক্ষেত্রে রক্ত পিত্ত যে আছে তা নিশ্চিত করে বলা যায়। এতে করলা বা করলার ফুল ৮-১০টা নিয়ে দিনে ৩ বার খেতে হয়।

৮। বীজ বাদ দিয়ে পুরো শাঁসের রস ছেঁকে একটু গরম করে প্রতিদিন সকাল ও বিকেলে খেলে অগ্নিমান্দ্য রোগ সেরে যায়।

৯। পোড়া ঘায়ে করলা পাতার রস লাগালে তা সারে।