বানভাসি মানুষের মানবেতর জীবন

সুরমা-কুশিয়ারার পানি মঙ্গলবার সারাদিন কয়েক সেন্টিমিটার কমলেও অপরিবর্তিত রয়েছে সিলেটের বন্যা পরিস্থিতি। পানিবন্দি রয়েছে মাঠঘাট, সড়ক, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাটবাজার ও বসতভিটা। এতে বানভাসিরা মানবেতর জীবন যাপন করছেন। এর মধ্যে রয়েছে রয়েছে ত্রাণ নিয়ে নানা অভিযোগ। ত্রিশ কেজি ভিজিএফএ’র চাল দেয়ার কথা থাকলেও বিতরণ করা হচ্ছে ২৫ কেজি করে।

সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার দাউদপুর ইউনিয়নের মীর্জাপুর, মানিকপুর ও ইনাতআলীপুর গ্রাম। বন্যার পানিতে ভেসে আছে বাড়িঘর, রাস্তাঘাট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও উপাসনালয়। পানি ঢুকে পড়ায় এক মাসের বেশি সময় ধরে বন্ধ গ্রামের স্কুল, মাদ্রাসা ও মসজিদ। পানিতে ভেসে রয়েছে টিউবয়েল। সংকট দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানির।

পানিতে ভেসে গেছে বিস্তীর্ণ জনপদের ফসল। ক্ষতিগ্রস্ত শতভাগ মানুষই। কিন্তু ত্রাণ পায়নি সবাই। বিপন্ন মানুষগুলোর অভিযোগ দলীয় পরিচয় দেখে দেয়া হচ্ছে সরকারি ত্রাণ। অনেকের অভিযোগ, নির্ধারিত পরিমাণের চেয়ে কয়েক কেজি কম চাল বিতরণ করা হচ্ছে।

মেম্বার-চেয়ারম্যানদের দাবি, বস্তায় চাল কম থাকায় মাথাপিছু কমিয়ে ত্রাণ বিতরণ করছেন তারা। চলতি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সিলেট ও মৌলভীবাজারের প্রায় ৬ লাখ মানুষ।