বান্দরবানের লামায় শোক দিবস পালিত

মোহাম্মদ শামছুদ্দোহা, জেলা প্রতিনিধি, বান্দরবান : বান্দরবানের লামা সিনিয়র জুডিসিয়াল মাজিস্ট্রেট আদালত ও আইনজীবি সমিতির যৌথ উদ্যোগে যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় শোক দিবস পালন করেছে। মঙ্গলবার বেলা ১১টায় লামা সিনিয়র জুডিসিয়াল মাজিস্ট্রেট আদালতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪২ তম শাহাদাত বার্ষিকী পালন উপলক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

শোক দিবসের এ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি উপস্থিত ছিলেন, লামা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মুহাম্মদ আলী আক্কাস।

এডভোকেট মো. মামুন মিয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, লামা আইনজীবি সমিতির সভাপতি এডভোকেট মো. জামশেদ উদ্দিন। এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন, আইনজীবি সমিতির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মো. সালাউদ্দিন চৌধুরী, এডভোকেট মৃদুল বড়ুয়া, এডভোকেট মো. জাফর আলম সহ প্রমূখ।

লামা বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ আলী আক্কাস বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের যোগ্যনেতৃত্বে সেদিন বাঙ্গালী জাতিকে একত্রিত করার মাধ্যমে দেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়ে ছিলো। জাতিরজনকে পাকিস্তানীরা মারতে সাহস করতে পারেনি কিন্তু এ দেশের কিছু ঘাতক চক্র শেখ মুজিবকে হত্যা করেছে। এ ক্ষতি জাতির পূরণ হওয়ার মতো নয়। ঘাতকেরা শুধু বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেনি, তাদের হাতে একে একে প্রাণ হারিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর সন্তান শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শিশু শেখ রাসেল, পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজী জামাল।

এ ছাড়া বঙ্গবন্ধুর ভাই শেখ নাসের, ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাদ, আরিফ, বেবি ও সুকান্ত, আবদুল নাঈম খান রিন্টু, বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে যুবনেতা শেখ ফজলুল হক মণি, তাঁর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মণিকেও হত্যা করা হয়। বঙ্গবন্ধুর জীবন বাঁচাতে ছুটে আসা কর্নেল জামিলকেও সেদিন ঘাতকদের হাতে প্রাণ হারাতে হয়েছিল। তবে সেই সময় বিদেশে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর দুই মেয়ে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা।

তিনি বিদেশে পালিয়ে থাকা অন্য খুনিদের দেশে ফিরিয়ে এনে ফাঁসি রায় কার্যকর করতে কেন্দ্রীয় সরকারকে অনুরোধ করেন। এছাড়া ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নিহত সকল শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

এ ছাড়া লামা উপজেলা আওয়ামীলীগের উদ্দ্যোগে জাতিয় শোক দিবস পালন করছে। লামা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ মোহাম্মদ ইসমাইলের সভাপতিত্বে এ দিবস পালিত হয়।