বিরাট কোহলিদের পদত্যাগ করার বার্তা! স্বার্থ সংঘাত

স্বার্থ সংঘাতের অভিযোগ তুলেই পদত্যাগ করেছিলেন সুপ্রিমকোর্ট নিযুক্ত প্রশাসক মণ্ডলীর অন্যতম মুখ রামচন্দ্র গুহ। বিস্ফোরক চিঠিতে তিনি ধোনি থেকে দ্রাবিড় প্রত্যেককেই অভিযোগের তিরে বিদ্ধ করেছিলেন। ভারতীয় ক্রিকেটের ‘সুপারস্টার কালচার’ নিয়ে সরব হয়েছিলেন তিনি।

এবার স্বার্থ সংঘাতের অভিযোগ থেকে রেহাই পেতে কোহলিদের নিজ নিজ চাকরি থেকে পদত্যাগ করার বার্তা দেওয়া হল। জাতীয় দলের প্রত্যেক ক্রিকেটারই কোনও না কোনও সংস্থায় চাকরি করেন।

বর্তমানে কোহলি যেমন ওএনজিসি-র ম্যানেজার। শুধু কোহলিই নন, অজিঙ্ক রাহানে, চেতেশ্বর পূজারা, ইশান্ত শর্মা সহ বাকি জাতীয় দলের ক্রিকেটাররাও বিভিন্ন সংস্থা বা সরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন।

জাতীয় দলে খেলার ফাঁকেই ঘরোয়া ক্রিকেটে এই সমস্ত সংস্থার হয়ে খেলেন ক্রিকেটাররা। ওএনজিসি-র হয়ে যেমন বিরাট কোহলি, ইশান্ত শর্মা খেলেন, তেমনই অতীতে এই কোম্পানির হয়ে খেলতেন বীরেন্দ্র সহবাগ, গৌতম গম্ভীররা।

সাধারণত, নিজেদের আর্থিক দিক সুনিশ্চিত করতেই বার্ষিক লোভনীয় অর্থের বিনিময়ে চুক্তিবদ্ধ হন ক্রিকেটাররা। ২০১১ সালে বিশ্বকাপ জেতার পর ওএনজিসি-র হয়ে চাকরিররত মুনাফ পটেলকে ২০ লাখ টাকা পুরষ্কারও দেওয়া হয়েছিল।

তবে সূত্রের খবর, আসন্ন মরশুমে ক্রিকেটারদের সঙ্গে বোর্ডের যে চুক্তি হবে, সেখানে স্পষ্ট করে লিখে দেওয়া থাকবে, কোনও সংস্থায় চাকরি করা যাবে না। আপাতত দ্বীপরাষ্ট্রে ক্রিকেট খেলতে ব্যস্ত ভারত। যেখানে ভারতই চালকের আসনে। প্রথম দিনের শেষে মাত্র তিন উইকেট হারিয়ে ৩৯৯ রান স্কোরবোর্ডে খাড়া করেছিল ভারত।

দ্বিতীয় দিন ব্যাট করতে নেমে সব উইকেট হারিয়ে ৬০০ রানের পর্বত চাপিয়ে দিয়েছে ভারত। পূজারা বুধবার ১৪৩ রানে অপরাজিত ছিল দিনের শেষে। বৃহস্পতিবার দেড়শো রান পূর্ণ করে নেন তিনি। অর্ধশতরান করে যান অজিঙ্ক রাহানে (৫৭) ও ঋদ্ধিমান সাহাও (৫০)।