বিশ্বে ১০ শতাংশ মানুষ বাঁহাতি

সাধারণভাবে ডানহাতে কাজ করাটাই প্রচলিত। একজন বাঁহাতি মানুষকে সমাজে অনেক সময় বিড়ম্বনার শিকার হতে হয়। বাঁহাতি মানুষদের জীবনকে আরো সহজ ও স্বাভাবিক ভাবে উপস্থাপন করতেই ইউরোপে কয়েক দশক আগে থেকে শুরু হয় বাঁহাতি দিবস উদযাপন।

বিশ্বের নামকার ও খ্যাতনামা ব্যক্তিদের অনেকেই বাঁহাতি। অমিতাভ বচ্চন, জুলিয়া রবার্টস, অ্যাঞ্জেলিনা জোলি, বারাক ওবামা, জর্জ বুশ, পেলে, ম্যারাডোনা কিংবা বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মুস্তাফিজুর রহমান নামগুলো খুবই জনপ্রিয়।

নামজাদা এই মানুষগুলোর সবার একটা ব্যাপারে রয়েছে দারুণ মিল। এরা সবাই বাঁহাতি। তবে বাংলাদেশে বাঁহাতিদের খুব সহজভাবে নেয়া হয় না। ঢাকার বাসিন্দা নুসরাত জাহান বিবিসি জানান, বাঁহাতি হবার জন্য তাকে নানা ধরণের বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘যখন হাত দিয়ে খেতে শুরু করি তখন প্রথম বিষয়টাতে গুরুত্ব দেয়া হয়েছিল। আমি দু’হাতে খেতাম। আমাকে ডানহাতে খাওয়ার জন্য চাপ দেয়া হতো। লেখা শুরু করার পরও ডানহাতে লেখার জন্য চাপ দেয়া হতো। ছোটবেলায় এমনকি একটা সময়ে আমার বাঁহাত কিছুদিন বেঁধেও রাখা হয়েছিল।’

মানুষ কেন বাঁহাতি হয় সেটি এখনো পরিষ্কার নয়। তবে বিশ্বের দশ শতাংশ মানুষ বাঁহাতি। বিভিন্ন সংস্কৃতিতে তাদের নিয়ে নানা ধরনের সংস্কার রয়েছে। বাঁহাতিদের জোর করে ডানহাতি বানানোর চেষ্টাও করা হয়।

তবে অনেকের ক্ষেত্রে এটি উত্তরাধিকার সূত্রেও হয়ে থাকে। বাংলাদেশে অনেকেই বাঁহাতিদের বেয়াদব মনে করেন। কিন্তু এই দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।