বিশ্রামের কারণ জানালেন সাকিব

বাংলাদেশের দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে টেস্ট সিরিজে থাকছেন না সাকিব আল হাসান। টেস্ট থেকে ছয় মাসের ছুটি চাওয়া বাঁহাতি অলরাউন্ডারকে দুই টেস্টের সিরিজে বিশ্রাম দিয়েছে বিসিবি। কিন্তু দারুণ ফর্মে থাকা সাকিবের এই বিশ্রাম নিয়ে চলছে তুমুল আলোচনা। সাকিব এবার নিজেই জানালেন তার বিশ্রামের কারণটা।

মঙ্গলবার বনানীতে নিজ বাসায় সংবাদিকদের সাকিব বলেছেন, ‘সবচেয়ে বড় কারণ হচ্ছে, আমি মনে করি আমার আরো বেশ অনেকদিন খেলা বাকি আছে। আমি যদি ওটা খেলতে চাই এবং ভালোভাবে খেলতে চাই, তাহলে এই বিশ্রামটা আমার জরুরী। আমি চাইলেই খেলতে পারি। কথা হচ্ছে, আপনারা কি চান যে আমি আরো ৫-৬ বছর খেলি নাকি ১-২ বছর? নির্ভর করছে সেটার ওপর। আমি যেটা অনুভব করি, এভাবে খেলতে থাকলে ১-২ বছরের বেশি খেলতে পারব না। ওভাবে খেলার থেকে না খেলা আমার কাছে ভালো।’

এই বিরতিটা তাকে মানসিকভাবে আরো চাঙা করে তুলবে বলে বিশ্বাস সাকিবের, ‘যতদিন খেলব, ততদিন যেন ভালোভাবে খেলতে পারি। সেটিই লক্ষ্য আমার। সেই কারণেই এই বিরতিটা পেলে আমি শারীরিকভাবে যতটা না, তার চেয়ে বেশি মানসিকভাবে চাঙা হয়ে ফিরব। হয়তো পরের ৫ বছর আমার টেনশন ছাড়া খেলা সম্ভব হবে। আমি মনে করি একটি-দুটি ম্যাচ বা একটি-দুটি মাস না খেলার থেকে এটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’

আপাতত দুই টেস্টের হলেও এটাকে বড় বিরতিই মনে করছেন সাকিব, ‘দুটি টেস্টের পরও যদি যাই, প্রায় এক মাসের একটি বিরতি হয়ে গেল কিন্তু। এরকম বিরতি আমি গত ৩-৪ বছরে পাইনি। আমি মনে করি আমার জন্য এটি অনেক বড় বিরতি।’

এজন্য বিসিবিকে ধন্যবাদও দিলেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার, ‘আমি বিসিবিকে ধন্যবাদ জানাই যে তারা আমার ব্যাপারটি বুঝতে পেরেছেন। যেভাবে আপনাদের মাত্র বললাম, আমি তাদেরকে সেটি বুঝিয়ে বলার পর, তারা বলেছে যে ঠিক আছে, আইডিয়া ভালো আছে। কারণ দিন শেষে আমার শরীর আমি যে কারও চেয়ে ভালো বুঝতে পারব। আমার এটা ম্যানেজ করার দরকার আছে। এই কারণেই এই সিদ্ধান্ত।’

‘খুব যে কঠিন ছিল বোর্ডকে বোঝানো, তা নয়। সুবিধা যেটা ছিল যে, আমি যখন কথা বলেছি, যাদের সঙ্গে বলেছি, আমার দৃষ্টিভঙ্গিটা বলার পর মনে হয়নি যে এটি অনৈতিক কিছু। সে কারণেই তারা হয়তো এটি গ্রহণ করেছে’- বলেন সাকিব।