বিষাক্ত প্লাস্টিক চাল চিনবেন যেভাবে

বর্তমানে বাজারে প্লাস্টিকের চাল, ভেজাল ডিম বা বিষাক্ত খাবার বিক্রি হচ্ছে বলে অভিযোগ করছেন অনেকেই।

চীন ও ভারত থেকে মুনাফা লোভী ব্যবসায়ীরা এসব বিষাক্ত খাবার দেশে এনে বিক্রি করছেন।

দেশের বাজারে হঠাৎ করেই বেড়ে গেছে চালের দাম। তাই লোভী ব্যবসায়ীরা অতিরিক্ত লাভের আশায় এসব প্লাস্টিক চাল আমদানি করছেন।

এই চাল দেখতে স্বাভাবিক মনে হলেও এতে রয়েছে শুধু বিষ আর বিষ। আর সব থেকে ভযঙ্কর বিষয় হল এর দাম কম হওয়ায় সাধারণ ক্রেতারা দ্রুত তা কিনেও ফেলছেন। ফলে অজান্তেই মৃত্যু থাবা বসাচ্ছে তাদের সুস্থ জীবনে।

আধুনিক প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে বিষাক্ত প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি করা হয় এই চাল। দেখতে একেবারে সাধারণ চালের মতো হয়। আর রান্না করার পর অনেকটা বাসমতি রাইসের মতো দেখতে লাগে।

তাই তো সরু চাল কম দামে অনেকে কিনে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন। রান্নাঘর ভরিয়ে তুলছেন প্লাস্টিক চালে। খেয়ালও রাখেন না যে, চালের পরিবর্তে তারা দিনের পর দিন মৃত্যু কিনে চলেছেন।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, প্লাস্টিক চাল দীর্ঘদিন ধরে খেলে ক্যান্সার, হজমের রোগ, মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা কমে যাওয়াসহ একাধিক রোগ দেখা দিতে পারে।

এখন প্রশ্ন হল, কীভাবে বুঝবেন কোন চলটা ভালো, আর কোনটা প্লাস্টিকের?

প্লাস্টিক চাল চেনার উপায়

* এক্ষেত্রে একটু জেনে রাখা ভালো, প্লাস্টিক চাল রান্না করার সময় অনেকক্ষণ পর্যন্ত শক্ত থাকে, যা সাধারণ চালের ক্ষেত্রে লক্ষ্য করা যায় না।

* এক গ্লাস পানি নিয়ে তাতে আল্প করে চাল মিশিয়ে ভালো করে নাড়ুন। যদি দেখেন চালটা পানির উপরে ভাসছে, তাহলে বুঝবেন এটা প্লাস্টিক চাল।

* অল্প করে চাল নিয়ে তাতে আগুন লাগিয়ে দিন। যদি দেখেন আগুন লাগানোর পর প্লাস্টিকের গন্ধ বের হচ্ছে, তাহলে ভুলেও ওই চাল খাবেন না।

এছাড়া আগুন দেয়ার পর যদি দেখেন চাল গলে গেছে তাহলে সেটা বিষাক্ত প্লাস্টিক চাল।

প্রেস্টিসাইড (এক ধরনের বিষ যা ব্যবহৃত খাবার) উৎপাদনে চীন হল বিশ্বের এক নম্বরে। তাই তো সেদেশে উৎপাদিত প্রায় সব খাবারেই কেমিক্যালের পরিমাণ খুব বেশি থাকে। আর এসব কেমিক্যাল আমাদের শরীরে ঢুকলে অসুস্থ হয়ে পরার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়।