বুমরার সেই নো বল নিয়ে ফখর যা বললেন

হৃৎপিণ্ডটা প্রায় বেরিয়েই এসেছিল ফখর জামানের। জাসপ্রীত বুমরার বলে মহেন্দ্র সিং ধোনির হাতে নিজেকে ক্যাচ হতে দেখে মনটাই ভেঙে গিয়েছিল তাঁর—সব স্বপ্ন শেষ! চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালের মতো বড় মঞ্চে মাঠে নেমে বড় কিছুই করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু সেই তিনি কিনা ফিরছেন মাত্র ৩ রান করে! মাথা নিচু করে ড্রেসিং রুমের দিকেই হাঁটতে শুরু করেছিলেন।

কিন্তু মাঠের আম্পায়ার হঠাৎই ফখরকে অপেক্ষা করতে বললেন। নতুন আশার আলো দেখলেন তিনি। বুমরার পা ক্রিজ অতিক্রম করেছে কি না, আম্পায়াররা সেটিই পরীক্ষা করে দেখবেন। অবিশ্বাস্যভাবে ফখর বেঁচে গেলেন। একটা নো বল, আর সেটা যেন পুরো ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিল। ফখরের জীবনেরও!

ফাইনালে ১০৬ বলে ১১৪ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলে ফখর এখন পাকিস্তানের জাতীয় নায়ক। সেই নো বলের ভূত যেন এখনো তাড়া করছে ভারতকে। ট্রাফিক পুলিশের প্রচারণার সূত্র ধরে আবারও নতুন করে আলোচনায় বুমরার নো বল। কিন্তু ফখর? তিনি কী বলেন?

ফখর বলেছেন, ‘যখন দেখলাম ধোনি আমার ক্যাচটি নিয়েছে, আমার হৃদয় ভেঙে গিয়েছিল। আমার সব স্বপ্ন ভেঙেচুরে একাকার। ড্রেসিং রুমের দিকে হাঁটতে শুরু করেছিলাম। আম্পায়ার যখন আমাকে অপেক্ষা করতে বললেন, সেটি ছিল একটা আশার আলো। আমি মাত্র ৩ রানে আউট হতে চাইনি। বড় কিছুই করতে চেয়েছিলাম।’

বলটি যখন নো হিসেবে প্রমাণিত হলো, তখন সেটিকে ফখর দেখেছেন প্রেরণা হিসেবেই, ‘আমি তখন বুঝে গেলাম, দিনটা আমারই।’

চ্যাম্পিয়নস ট্রফির প্রথম ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে ফখর খেলেননি। ম্যাচটা ১২৪ রানে হেরেছিল পাকিস্তান। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে পরের ম্যাচেই অভিষেক হলো। নিজের সামর্থ্যের প্রমাণ রাখলেন। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ফিফটি পেলেন, ফিফটি করলেন সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষেই। অচেনা একজন থেকে বীরই হয়ে গেলেন। বাকিটা তো ইতিহাসই। পিটিআই।