‘বুড়ার কাছ থেকে না নিলে মারা যাব’

অসম বিয়ে। তবে অভিভাবকদের না জানিয়ে। পাঁচ লাখ রুপির বিনিময়ে ৬৫ বছরের বৃদ্ধ বিয়ে করেছেন ষোড়শীকে। ওই স্কুলছাত্রীর চাচা-চাচি অর্থের লোভে ওমানী শেখের কাছে তাকে বিক্রি করে দিয়েছেন বলে জানা গেছে। খবর এনডিটিভির।

মেয়েটির বাবা-মা বুধবার পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। স্কুলছাত্রীর ওই অসম বিয়ের রঙিন ছবিগুলো বেশ হৈ চৈ ফেলেছে গণমাধ্যমে।

ওমানের রাজধানী মাসকট থেকে ওই স্কুলছাত্রী তাদের বাবা-মাকে এসএমএস করেছে, ‘তোমরা যদি আমাকে এখান থেকে নিয়ে না যাও, আমাকে না উদ্ধার কর, তাহলে আমি মারা যাব।’ স্কুলছাত্রীর মা মেয়েকে ফিরে পেতে পুলিশসহ ভারত সরকারের সাহায্য চেয়েছেন।
তিনি অভিযোগ করেন, মেয়েটির চাচা-চাচি অর্থের লোভে তাদের কাছ থেকে অনুমতি না নিয়ে এই অবৈধ বিয়ের আয়োজন করেছে।

প্রমাণ হিসেবে পুলিশের কাছে দেওয়া ছবিতে দেখা যায়, বিয়ের পোশাকে দাঁড়িয়ে আছে অষ্টম শ্রেণির ওই ছাত্রী। পাশে দাঁড়ানো সাদা দাড়িওয়ালা বয়স্ক লোক। আরেকটি ছবিতে পুরুষটিকে সাদা পোশাকে এবং মেয়েটিকে কালো পোশাকে দেখা যায়।

ভারতের হায়দরাবাদের একটি হোটেলে কাজীর মাধ্যমে এই বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে বলে জানা গেছে। বিয়ের পর লোকটি মাসকাটে ফিরে যান এবং সেই স্কুলছাত্রীর জন্য ভিসা পাঠান। পরবর্তীতে মেয়েটিকেও ওমানে পাঠানো হয়।

মেয়েটির মা-বাবা পুলিশকে জানান, সে এখন কান্নাকাটি করছে এবং হায়দরাবাদে ফিরতে চাচ্ছে।

উল্লেখ্য, হায়দরাবাদে এ ধরনের বিয়ে অনেকটা স্বাভাবিক দৃশ্য। অর্থের বিনিময়ে অনেক দরিদ্র পরিবার আরব দেশের বিভিন্ন পর্যটক, শেখদের কাছে নিজেদের অল্প বয়সী মেয়েদের বিয়ে দিয়ে থাকেন।