বৃহস্পতিবার রাত ৮টা থেকে ১৮ ঘণ্টা নতুন সিম বিক্রি বন্ধ

ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেছেন, সেন্ট্রাল বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশন মনিটরিং সিস্টেম আপডেট করার জন্য বৃহস্পতিবার রাত ৮টা থেকে পরবর্তী ১৮ ঘণ্টা নতুন সিম বিক্রি বন্ধ থাকবে। সিস্টেম আপডেটের পর আবারো সব অপারেটরের সিম যথারীতি বিক্রি হবে।

তিনি আরো বলেন, ১৮ ঘণ্টার মধ্যে যে মুহূর্তে যে অপারেটর আপডেট হয়ে যাবে ১৮ ঘণ্টার আগেই ওই অপারেটরের সিম বিক্রি করার অনুমোদন দেয়া হবে।

বুধবার সচিবালয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সেন্ট্রাল বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশন মনিটরিং সিস্টেম এর উদ্বোধন করে তিনি এসব তথ্য জানান।

তারানা হালিম বলেন, সেন্ট্রাল বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশন মনিটরিং সিস্টেম শুক্রবার থেকে লাইভে (অনলাইন) যাচ্ছে। এ সিস্টেমের উদ্বোধন আজকে ঘোষণা করছি।

তিনি বলেন, সিম ও রিম বায়েমেট্রিক ভেরিফিকেশন সফলভাবে মাত্র ৫ মাসের মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। এ প্রক্রিয়াটি আরো নিচ্ছিদ্র করতে ‘সেন্ট্রাল বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশন মনিটরিং সিস্টেম’ এ যাচ্ছি। এ সিস্টেমে যুক্ত হয়েছে দেশের সকল অপারেটর। এর মাধ্যমে দেশের সব অপারেটরদের যুক্ত করে একটি প্যারারাল ডাটাবেজ বিটিআরসির সেন্ট্রালে রাখা হচ্ছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে বায়েমেট্রিক ভেরিফাইড সিমের ডাটাবেজ প্রত্যেকটি অপারেটর বিটিআরসিতে পাঠিয়েছে। গত ৩০ মে পর্যন্ত ডাটাবেজ সেন্ট্রাল সিস্টেমে লোড করা হয়েছে। ডাটা আপডেট করার জন্য কোথাও কোথাও বৃহস্পতিবার রাত ৮টা থেকে পরবর্তী ১৮ ঘণ্টা সিম বিক্রিতে কিছুটা বিঘ্ন ঘটতে পারে। ডাটা আপডেট করার পর শুক্রবার বিকেল থেকে সিস্টেমটি অনলাইন হয়ে যাবে।

তিনি বলেন, শুক্রবার থেকে কোনো গ্রাহকের জন্য কোনো অপারেটর সিম কিনতে চাইলে সেটি যাবে সেন্ট্রাল মনিটরিং সেস্টেমে। সিস্টেম উক্ত গ্রাহকের ন্যাশনাল আইডির সাথে যাচাই করে দেখবে ওই আইডির বিপরীতে কয়টি সিম আছে। তারপর সিস্টেম থেকে সিমটি রেজিস্ট্রি করা যাবে কিনা সে তথ্য অপারেটেরের কাছে যাবে। অপারেটর তথ্যপ্রাপ্তি সাপেক্ষে সিমটি ভেরিফাই ও রেজিস্ট্রি করবে। গ্রাহকদের কোনো ধরনের হয়রানি ছাড়াও এসব প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবেও বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।

উল্লেখ্য, একটি ন্যাশনাল আইডির রিপরীতে সর্বোচ্চ ২০ সিম বিক্রির নিয়ম রয়েছে।

‘সেন্ট্রাল বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশন মনিটরিং সিস্টেম’ এ মধ্যামে যেসব সুবিধা পাওয়া যাবে:

প্রত্যেক এনআইডি এর বিপরীতে সব অপারেটর মিলিয়ে কয়টি সিম আছে তা জানা যাবে।

প্রতিটি সিম বিক্রির আগে ক্লিয়ারেন্স দিতে পারা যাবে। প্রতিটি অপারেটরের গ্রাহক সংখ্যা সঠিকভাবে নির্ণয় করা যাবে। কোন মাসে কত কমলো বা বাড়লো তা সহজেই জানা যাবে।

কোনো ডাটা নিয়ে সন্দেহ হলে বিটিআরসি তা ভেরিফাই করে নিতে পারবে।