দশম আইপিএলে ক্রিস গেইলকে ঠিক চেনা যায়নি। একটা-দুটো ম্যাচে ভালো শুরু করেও ঝড় তোলার আগেই ফিরে গেছেন ড্রেসিংরুমে। মাঝে মাঝে রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু তাকে বসিয়েও রেখেছে। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপণ গেইলকে যখন বসে রাখা হয় প্রশ্নটা চলে আসে তখনই। তাহলে আইপিএলে বেঙ্গালুরু অধ্যায় শেষ হয়ে গেলো ব্যাটিং দানবের?

একই প্রশ্ন এখন বড় হয়ে দেখা দিয়েছে গৌতম গম্ভীরকে নিয়ে। বেঙ্গালুরুতে শুক্রবার (১৯ মে) বাজেভাবে হেরে বিদায় নিয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স(কেকেআর)।যদিও এবারের আইপিএলে গেইলের মতো অতটা অফফর্মে ছিলেন না গম্ভীর। তারপরও তাকে নিয়ে কানাঘুষা শুরু হয়েছে।

ক্যারিবিয়ান রাজপুত্র গেইলের বয়স ৩৭। আইপিএলে অসাধারণ তাঁর রেকর্ড। কিন্তু যা ইঙ্গিত, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু তাঁকে আর রাখতে ইচ্ছুক নয়। সামনের বছর গম্ভীরের বয়স হবে ৩৬। তিনি ভারতীয় দলে খেলছেন না চার বছরের বেশি হয়ে ধরে। মাঝে খুব সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য টেস্ট দলে প্রত্যাবর্তন করলেও বেশি দিন বিরাট কোহালিদের সঙ্গে থাকার সৌভাগ্য হয়নি। গম্ভীরের ঘনিষ্ঠ এক বন্ধু আইপিএল শুরুর সময়েই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, ‘এটাই শেষ আইপিএল হতে যাচ্ছে গম্ভীরের জন্য।’

গেইলের আইপিএল রেকর্ডের মতোই কেকেআরের অধিনায়ক হিসেবে দারুণ সব স্মরণীয় মুহূর্ত রয়েছে গম্ভীরের। তাঁর নেতৃত্বেই দু’বার ট্রফি জিতেছে শাহরুখ খানের দল। তবু মনে হয় না, সেই দারুণ রেকর্ডও সামনের আইপিএলে গ্যারান্টি কার্ড দিতে পারবে! কেকেআর কর্তারা চেষ্টা করবেন, নতুন রক্তে তাজা দল তৈরি করার।

এই মুহূর্তে ক’জন পুরনো ক্রিকেটারকে ধরে রাখা যেতে পারে, তা নিয়ে তর্ক-বিতর্ক চলছে। কোনো কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি চাইছে, পাঁচ জন ক্রিকেটারকে ধরে রাখার পুরনো নিয়মই চালু থাকুক। কিন্তু আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিল চাইছে, তিন জন ক্রিকেটারকে ধরে রাখার নিয়ম আনতে। সেক্ষেত্রে দু’জন ভারতীয় এবং একজন বিদেশি ক্রিকেটারকে পুরনো দল থেকে রাখা যাবে।

বেঙ্গালুরুর পছন্দের দুই ভারতীয় ক্রিকেটার কারা হবেন, তা জানার জন্য বিশেষজ্ঞ হওয়ার দরকার নেই। অবশ্যই বিরাট কোহালি এবং লোকেশ রাহুল। বিদেশির নামও চূড়ান্ত হয়ে গেছে। তিনি এবি ডি ভিলিয়ার্স। গেইল যতই টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটকে এক সময় শাসন করে থাকুন, ভবিষ্যতের পরিকল্পনায় তিনি খুব একটা নেই। তবে একাদশতম বছরে সবচেয়ে বেশি নতুন রূপ পাবে শাহরুখ খানের দল। তাঁদের মোটামুটি সবাই যে ‘বুড়ো ঘোড়াদের’ দলে! তাই গম্ভীরের কাটা পড়াটা অস্বাভাবিক কিছু নয়।