বেরোবিতে জাতীয় শোক দিবস পালন : ‘বঙ্গবন্ধু কর্ণার’ চালুর ঘোষণা

এইচ. এম নুর আলম, বেরোবি প্রতিনিধি : রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর স্মৃতি সংরক্ষণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে‘বঙ্গবন্ধু কর্ণার’ চালুর ঘোষণা দিয়েছেন উপাচার্য প্রফেসর ডক্টর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিটিএফও। যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর ৪২তম শাহাদাৎ বার্ষিকী এবং জাতীয় শোক দিবস-২০১৭ পালন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এই ঘোষণা দেন। এছাড়াও জাতীয় শোক দিবস কেন্দ্রীয়ভাবে পালনের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ে বাধ্যতামূলক পালনের জন্য সিন্ডিকেট ও সিনেট সভার মাধ্যমে অনুমোদন করার বিষয়েও তিনি উদ্যোগ গ্রহণের কথা বলেন।

আজ ১৫ আগস্ট (মঙ্গলবার) সকাল ৯টায় প্রশাসনিক ভবনে কালো পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন উপাচার্য প্রফেসর ডক্টর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিটিএফও। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আয়োজনে শোক র‌্যালির মাধ্যমে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে জাতির পিতার প্রতিকৃতিকে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করা হয়। উপাচার্য ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন দপ্তর ও সংগঠনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানো হয় মহান স্বাধীনতার স্থপতির প্রতি। পুষ্পার্ঘ অর্পণ শেষে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শাহাদাৎ বরণকারীদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।

জাতীয় শোক দিবস-২০১৭ উপলক্ষে সকাল ১০টায় কেন্দ্রিয় ক্যাফেটেরিয়াতে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, ‘হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জীবন ও কর্মের স্মৃতি সংরক্ষণ করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে ‘বঙ্গবন্ধু কর্ণার’ স্থাপন করা হবে। তাছাড়া এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৫ আগস্ট বাধ্যতামূলক শোক দিবস পালনের জন্য সিন্ডিকেট ও সিনেট সভার অনুমোদন নেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে যাতে যারাই ক্ষমতায় থাকুন না কেন দিবসটি বিশ্ববিদ্যালয়ে যথাযথভাবে পালন করা যায়।’

আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডিন জনাব ফেরদৌস রহমান, জনসংযোগ, তথ্য ও প্রকাশনা বিভাগের প্রশাসক এবং শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল-এর প্রভোস্ট প্রফেসর ড. সরিফা সালোয়া ডিনা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল এর প্রভোস্ট (চলতি দায়িত্ব) তাবিউর রহমান প্রধান, বঙ্গবন্ধু পরিষদের আহবায়ক ও গণিত বিভাগের প্রফেসর ড. আর এম হাফিজুর রহমান, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. আবু ছালেহ মোহাম্মদ ওয়াদুদুর রহমান, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ ইব্রাহীম কবীর, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি আবু মোন্নাফ আল কিবরিয়া তুষার, সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান শেখ নোবেল, অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শামসুল হক, কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।

বঙ্গবন্ধু শেখ ফজিলাতুন্নেছা হল-এর সহকারী প্রভোস্ট কুন্তলা চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন। এর পর একই স্থানে বেলা ১২টায় বঙ্গবন্ধু পরিষদ আয়োজিত শোক দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ডক্টর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিটিএফও। সভায় সভপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধু পরিষদের আহবায়ক প্রফেসর ড. আর এম হাফিজুর রহমান, উপস্থিত ছিলেন সদস্য সচিব মশিউর রহমান।

এদিকে দিবসটি উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের শাহাদাৎ বরণকারী সদস্যদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বাদ জোহর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে মিলাদ ও বিশেষ দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

অন্যান্য সংঘটনের পাশাপাশি জাতীয় শোক দিবসে বিশ্ববিদ্যালয়ে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতিও বেরোবিসাস) পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ কওে জাতির জনকের প্রতি শ্রদ্ধা জানায়। জাতীয় শোক দিবসে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় কর্মসূচি ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু পরিষদ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল, শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল, শহীদ মুখতার ইলাহী হল আলাদা কর্মসূচির আয়োজন করেছে।