বোলিংটাই ভুলে গেল বাংলাদেশ!

টেস্ট সিরিজে রানখরায় ভোগা বাংলাদেশের বোলাররা তবু কয়েকটি উইকেট শিকার করতে পেরেছিল প্রতি ইনিংসেই। এবার ওয়ানডে সিরিজে যেন বোলিংটাই ভুলে গেল সফরকারীরা! কাটার মাস্টার মুস্তাফিজের অনুপস্থিতিতে যেন পাড়ার বোলারে পরিণত হয়েছে সবাই! একে তো স্বল্প পুঁজি, তার ওপর স্বাগতিকদের ২ শতাধিক রানের ওপেনিং জুটি! ভাবা যায়! জয়ের জন্য যখন মাত্র ৭৯ রান দরকার প্রোটিয়াদের একটি উইকেটও নিতে পারেনি মাশরাফি-সাকিবরা!

সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন কুইন্টন ডি কক।

সেঞ্চুরির পথে আছেন অপর ওপেনার হাশিম আমলা (৮৪*)। বড় ব্যবধানে নিশ্চিত পরাজয় ছাড়া আর কি কোনো পথ খোলা আছে?
এর আগে কিম্বার্লিতে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে মুশফিকুর রহিমের সেঞ্চুরিতে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ২৭৮ রান তুলে বাংলাদেশ। তামিম-সৌম্যর অনুপস্থিতিতে ইনিংস শুরু করেন লিটন দাস এবং ইমরুল কায়েস। শুরুটা ভালো করলেও রাবাদার বলে ক্যাচ তুলে দেন দারুণ খেলতে থাকা লিটন (২১)। সাব্বিরের জায়গায় তিন নম্বরে ব্যাট করতে আসেন বিশ্বসেরা অল-রাউন্ডার সাকিব আল হাসান। কিছু সময় পর প্রিটোরিয়াসের শর্ট বলে বাজে শট খেলে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন ইমরুল কায়েস (৩১)।

দ্রুত ২ উইকেট হারানোর পর দলের হাল ধরেন অভিজ্ঞ মুশফিক এবং সাকিব। জুটি জমে যাওয়ার পর ইমরান তাহিরের বলে সাকিব (২৯) হাশিম আমলার তালুবন্দী হলে ভাঙে ৫৯ রানের জুটি। এদিন ক্যারিয়ারের ৫ হাজার রানের মাইলফলকে পৌঁছান সাকিব।

এরপর ‘ভায়রা ভাই’ মুশফিকের সঙ্গে ৬৯ রানের জুটি গড়ে দলকে এগিয়ে নেন মাহমুদ উল্লাহ। প্রিটোরিয়াসের শিকার হওয়ার আগে তার সংগ্রহ ২৬। সাব্বির এসে ১টি করে চার ও ছক্কা হাঁকিয়ে রাবাদার বলে ফিরলেন ১৯ রান করে।

এরপরেই ক্যারিয়ারের পঞ্চম ওয়ানডে সেঞ্চুরি তুলে নিলেন ‘মি. ডিপেন্ডেবল’ মুশফিকুর রহিম। ১০৮ বলে ১০ চার এবং ২ ছক্কায় তিন অংকে পৌঁছান তিনি। সর্বশেষ ২০১৫ সালে মিরপুরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সেঞ্চুরি (১০৭) হাঁকিয়েছিলেন মুশফিক। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এটাই বাংলাদেশি কোনো ব্যাটসম্যানের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রান। স্লগ ওভারে ভরসা দিতে পারেননি অনেকদিন পর ওয়ানডে খেলতে নামা নাসির হোসেন (১১)। অভিষিক্ত সাইফউদ্দিন রাবাদাকে এক দর্শনীয় ছক্কা হাঁকালেন। পরের বলে আবারও ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে প্যাটারসনের তালুবন্দী হয়ে ফিরলেন ১৬ রানে। অপরাজিত ১১০ রান করে মাঠ ছাড়েন মুশফিক।