‘ব্যক্তিগত গাড়িমুক্ত’ হলো না মানিক মিয়া এভিনিউ

মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষার কারণে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ঘোষণা অনুযায়ী মাসের প্রথম শুক্রবার মানিক মিয়া এভিনিউ ‘ব্যক্তিগত গাড়িমুক্ত’ রাখা যায়নি। তবে আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী মাসের প্রথম শুক্রবার জাতীয় সংসদ ভবনের সামনের সড়কটি ব্যক্তিগত গাড়িমুক্ত রাখা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছে ট্রাফিক বিভাগ।

ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) মোসলেহ উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘মন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী আমাদের প্রস্তুতি ছিল। কিন্তু আজ সকাল ১০টা থেকে ১১টা মেডিকেলের ভর্তি পরীক্ষা ছিল। হাজার হাজার পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা ওই রাস্তা দিয়ে গেছেন। এ কারণে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে আজকের কর্মসূচি স্থগিত রাখা হয়েছে।’

গত ২২ সেপ্টেম্বর ওই সড়কে ‘ব্যক্তিগত গাড়িমুক্ত দিবসের’উদ্বোধন করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ওই সময় তিনি মাসে অন্তত একটি দিন একটি সড়কে ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচল বন্ধ রাখার আগ্রহ প্রকাশ করেন। বলেন, ‘ব্যক্তিগত গাড়িমুক্ত দিবস আমরা কাগজে লিখলাম, সুন্দর সুন্দর বক্তব্য দিলাম, বাস্তবতা যদি না থাকে তাহলে এসব কথা বলে লাভ নেই। শুধু মুখে নয়, আমরা কারমুক্ত দিবসের যথার্থতা যেন উপলব্ধি করি এবং বাস্তবতা যেন প্রয়োগ করি।’

পরে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রাণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শফিকুল ইসলাম এবং ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ আন্দোলনের চেয়ারম্যান অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চনকে সামনে রেখে প্রতি মাসের প্রথম শুক্রবার মানিক মিয়া এভিনিউয়ে ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচল বন্ধ রাখার ঘোষণা দেন ওবায়দুল কাদের।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রতিবছর ২২ সেপ্টেম্বর ‘কার-ফ্রি ডে’ বা ‘ব্যক্তিগত গাড়িমুক্ত দিবস’ পালন করা হলেও বাংলাদেশে এ দিবস পালনের বিষয়টি নতুন। বিগত বছরগুলোতে বেসরকারি উদ্যোগে পালিত হলেও এবারই প্রথম ঢাকা সড়ক পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ), ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগসহ সরকারি ও বেসরকারি ৫৯টি সংস্থার উদ্যোগে রাষ্ট্রীয়ভাবে এ দিবস পালন করা হয়।

শুক্রবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচল বন্ধ রাখার উদ্যোগ হিসেবে আড়ং মোড়ে লাল রঙের বড় আকারের একটি ধাতব ব্যারিকেড। ব্যারিকেডে লেখা- ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচল নিষেধ। কিন্তু মেডিকেলের পরীক্ষার কারণে ওই কর্মসূচি বন্ধ রাখায় স্বাভাবিকভাবে ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচল করতে দেখা যায়।