ভারত সীমান্তে নিরাপত্তা বাড়াচ্ছে বাংলাদেশ

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করছে বাংলাদেশ। মমতা ব্যানার্জির পশ্চিমবঙ্গ থেকে শতাধিক মুসলিম রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টার পর রোববার এ ধরনের তথ্য জানিয়েছেন বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিবি) কর্মকর্তারা।

বিজিবির এরিয়া কমান্ডার তরিকুল হাকিম জানান, পাঠখালী এলাকায় সীমান্তের ওপারে কয়েকশ রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে প্রবেশের জন্য জমায়েত হতে দেখা গেছে। ওই স্থানে একটি ছোটো নদী বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তকে আলাদা করেছে।

তিনি বার্তা সংস্থা এএফপিকে আরও জানান, আমরা নজরদারি বাড়িয়েছি; যাতে কোনো রোহিঙ্গা সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে ঢুকতে না পারে।

মিয়ানমার ছেড়ে জীবন বাঁচাতে ভারতে পালিয়ে গেছে ৪০ হাজার রোহিঙ্গা। কিন্তু ভারত সরকার তাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর চেষ্টা করছে। রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা হুমকি হিসেবেও দেখছে দেশটি।

অন্যদিকে গত ২৫ আগস্টের পর থেকে পাঁচ লাখ ৩৬ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসে শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নিয়েছে। ভারতের রোহিঙ্গারা তাদের স্বজনদের সঙ্গে মিশতে বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ভারত সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) একজন সদস্য এএফপিকে জানান, আমাদের ওপর নির্দেশনা একেবারে পরিষ্কার; তারা সীমান্ত পার হয়ে বাংলাদেশে চলে গেলে বাধা দেব না।

তবে বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকর্তারা বলছেন, সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোতে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা রয়েছে। নতুনভাবে আসা শরণার্থীরা বলছে, সীমান্ত পার হয়ে আসতে বিএসএফ তাদের উদ্বুদ্ধ করেছে।

রোহিঙ্গাদের প্রবেশ ঠেকাতে দিনরাত নজরদারি করছে বিজিবি। সীমান্ত এলাকার বাসিন্দারাও তৎপর বলে জানিয়েছেন তরিকুল হাকিম।

আগে থেকেই বাংলাদেশে পালিয়ে আসাসহ এখন আট লাখের বেশি রোহিঙ্গা রয়েছে দেশটিতে। শত শত বছর ধরে রাখাইনে বসবাস করেও রোহিঙ্গারা সেখানকার নাগরিক হতে পারেনি। মিয়ানমার সরকার তাদের অবৈধ অভিবাসী দাবি করে।

গত ২৫ আগস্টের পর থেকে রোহিঙ্গাদের উপর চলমান নির্যাতনকে পাঠ্যপুস্তকে উল্লিখিত গণহত্যার উদাহরণের সঙ্গে তুলনা করেছে জাতিসংঘ। রোহিঙ্গা নির্যাতনের ঘটনায় শান্তিতে নোবেল জয়ী নেত্রী অং সান সু চি ব্যাপকভাবে সমালোচিত হচ্ছেন। প্রতিবাদ স্বরূপ যুক্তরাজ্যের সেন্ট হিউ কলেজের প্রধান ফটক থেকে সু চির প্রতিকৃতি সরিয়ে ফেলা হয়েছে।

সূত্র : ডেইলি মেইল