ভুল চিকিৎসা হলেও হাসপাতাল ভাঙচুর উচিত নয় : কাদের

রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে রোগী মৃত্যুর ঘটনায় হাসপাতালে ভাঙচুরের সমালোচনা করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ডাক্তারের ভুলে রোগীর মৃত্যু হলেও প্রতিবাদের ভাষা এমন হওয়া উচিত নয়। কারণ, এর প্রভাব গিয়ে পড়ে অন্য রোগীদের ওপরও।

সোমবার রাজধানীতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিআরটিএ কার্যালয়ের এক বৈঠক শেষে এ কথা বলেন মন্ত্রী।

গত ১৮ মে রাজধানীর সেন্ট্রাল হাসপাতালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় ভাঙচুরের রেশ রয়ে গেছে এখনও। এই ঘটনার প্রতিবাদে সারাদেশে মাঝে একদিন প্রাইভেট প্র্যাকটিস বন্ধ রাখেন চিকিৎসকরা। আগামী মাসেও একই ধরনের কর্মসূচি দিয়েছেন তারা। আর চিকিৎসকদের এই ধরনের কর্মসূচিতে রোগী ভোগান্তি সব সময়ই চরমে উঠে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘হাসপাতালে একজন রোগী মারা গেল। সেটা যদি ডাক্তারের ভুলে নাও হয়, তখন দেখা যায় হাসপাতালের প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি এবং হাসপাতাল ভাঙচুর করা হয়। তার প্রতিবাদে সারাদেশে ডাক্তাররা ধর্মঘট করে।’ তিনি বলেন, ‘মারা গেল একজন, ভুল চিকিৎসা দিলে দুই একজন ডাক্তার, কিন্তু শাস্তি দেয়া হবে পুরো হাসপাতালকে এবং ভর্তি হওয়ায় রোগীদের। এর প্রতিবাদে সারাদেশে হাসপাতাল বন্ধ।

একজনের মৃত্যুর জন্য হাজার হাজার মুমূর্ষ মানুষকে মৃত্যুর মুখে ফেলা কোন প্রতিবাদের ভাষা হতে পারে না।’ হাসপাতাল ভাংচুর করাও উচিত না আবার কিছু হলেই হাসপাতাল বন্ধ করে দেয়াটা মেনে নেয়া যায় না। এ সময় মন্ত্রী বলেন, কথায় কথায় ডাক্তারদের ধর্মঘট ডাকাও অযৌক্তিক।

এ সময় মন্ত্রী গাড়িচাপায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে দুইজন ছাত্রের মৃত্যুর প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন নিয়েও কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘এই ঘটনায় যদি ড্রাইভার বেপরোয়া হয়, তাহলে তার শাস্তি হবে। কিন্তু এর জন্য গুরুত্বপূর্ণ ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে হাজার হাজার গাড়ি দাঁড়িয়ে ছিল। হাজার হাজার মানুষ যানজটে কবলে পড়েছিল। এখানে অনেক বৃদ্ধ, নারী-শিশু এবং মুমূর্ষ রোগীও ছিল। দুইজন ছাত্রের মৃত্যুর জন্য লক্ষ লক্ষ মানুষ ভোগান্তির শিকার হয়েছিল।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মানুষকে ভোগান্তির কবলে ফেলা কোন প্রতিবাদের ভাষা হতে পারে না। তাই সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান এ ধরণেল অযৌক্তিক নির্মম প্রতিবাদ করে বিব্রত করবেন না।’