ভয়াবহ সেশনজটের কবলে ঢাবির অধীনে যাওয়া সাত কলেজ

ভয়াবহ সেশনজটের কবলে পড়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে যাওয়া রাজধানীর সাতটি সরকারি কলেজের ২ লাখ ৪০ হাজার শিক্ষার্থী। তারা জানেন না কবে, কোথায় বা কোন সিলেবাসে পরীক্ষা নেয়া হবে। ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে এখনো শুরু হয়নি ক্লাস-পরীক্ষা, কিন্তু মাস খানেক পরেই শুরু হবে আরেকটি নতুন শিক্ষাবর্ষ। চলতি বছরে নয় আগামী বছর থেকেই নতুন কারিকুলামে পরীক্ষা নেয়ার কথা জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সেশনজট কমানো ও শিক্ষার মান বাড়াতে চলতি বছরের ১৬ই ফেব্রুয়ারি রাজধানীর ৭টি কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয়। শুরুর দিকে এটা শিক্ষার্থীদের জন্য আনন্দের বিষয় হলেও তা বিষাদে রূপ নিয়েছে। শিক্ষার্থীরা জানে না কোন সিলেবাসে বা কোথায়, কবে তাদের পরীক্ষা নেয়া হবে।

অথচ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন একই শিক্ষাবর্ষের অন্য কলেজের শিক্ষার্থীরা ইতোমধ্যে পরীক্ষা দিয়ে নতুন শিক্ষাবর্ষে পদার্পণ, কেউবা চাকুরীর জন্য আবেদন করছেন।

অধিভুক্ত হওয়ার ছয় মাস পেরুলেও এখনো প্রণীত হয়নি সিলেবাস বা নীতিগত সিদ্ধান্ত। অথচ মাস খানেক পরেই শুরু হবে আরেকটি নতুন শিক্ষাবর্ষ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বলছে, রাতারাতি সেশনজট কাটিয়ে উঠা সম্ভব নয়, তবে আগামী বছর থেকে নতুন সিলেবাসে ক্লাস পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

ঢাবি উপাচার্য ভিসি ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ‘আমি আশা করি অন্যান্য যেসব অধিভুক্ত কলেজ আছে সেশনজট মুক্ত আছে ঠিক তেমনি এই সাতটি সেশনজট মুক্ত করতে পারবো। কিন্তু একটু সময় লাগবে। কারণ রাতারাতি সেশনজট কাটিয়ে উঠা সম্ভব নয়।’

অধিভুক্ত কলেজগুলো বলছে, সব পক্ষের আন্তরিকতা থাকলে সেশনজট কাটিয়ে ওঠা সম্ভব।

কবি নজরুল কলেজ অধ্যক্ষ আই কে সেলিমউল্লাহ খন্দকার বলেন, ‘নতুন যে ব্যাচ আসছে এটা প্রথম পর্যায়ে ৩/৪ মাস পিছিয়ে যাবে। কিন্তু একটা সময়ে এটি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত অন্য কলেজে যে পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেয়া হয় একই পদ্ধতিতে নেয়া হবে ৭টি কলেজর পরীক্ষাও।

গেল ১৬ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারি সাত কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

কলেজগুলো হচ্ছে- ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, মিরপুর সরকারি বাঙলা কলেজ ও সরকারি তিতুমীর কলেজ।

এসব কলেজে অনার্স ও মাস্টার্স পর্যায়ে বর্তমানে এক লাখ ৬৭ হাজার ২৩৬ জন ছাত্রছাত্রী এবং এক হাজার ১৪৯ জন শিক্ষক রয়েছেন।