মশা মারার এত টাকা কোথায় গেল, প্রশ্ন বিএনপির

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, ‘মশক নিধনে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে শত শত কোটি টাকা ব্যয়ের কথা বলা হয়েছে। এত টাকা ব্যয় হলেও ন্যূনতম মশক নিধন হয়নি, তাহলে টাকাগুলো গেল কোথায়?’

আজ রোববার দুপুরে দলের নয়াপল্টনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ প্রশ্ন তোলেন রিজভী।

রিজভী আহমেদ বলেন, ‘রাজধানীতে মশার ব্যাপকতা বেড়ে যাওয়ায় চিকুনগুনিয়া নামক ব্যাপকবিস্তারী রোগটি এখন মহামারি আকার ধারণ করেছে। মশা নিধনে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ না করে দায়িত্ব এড়িয়ে যেতে লাগামহীন কথাবার্তা বলা হচ্ছে। মশক নিধনের ব্যর্থতার কারণে ঢাকা শহরে শুরু হওয়া চিকুনগুনিয়া যেভাবে সারা দেশে মহামারি আকার ধারণ করেছে, তাতে জনগণের মধ্যে চরম উদ্বেগ ও আতঙ্কের সৃষ্টি করছে। দেশে জনস্বাস্থ্য এখন চরম হুমকির মুখে। সরকার এবং দুই মেয়র এর দায় এড়াতে পারে না।’

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আরো বলেন, ‘চিকুনগুনিয়ার মতো মহামারির আগ্রাসন প্রতিরোধে সরকারের প্রস্তুতি দূরে থাক; বরং সরকার ও সরকারের প্রতিনিধিরা জনগণের দুঃখ-কষ্ট নিয়ে উপহাস করছে। শুধু মশা নয়, জনগণ সিটি করপোরেশনের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় সেবাগুলো পাচ্ছে না। তারা এখন চরম জনদুর্ভোগের মধ্যে হাবুডুবু খাচ্ছে। সরকারের গণবিরোধী অগণতান্ত্রিক দুঃশাসনের কারণেই দেশের সামগ্রিক অবকাঠামোই এখন ভেঙে পড়েছে।’

দুর্নীতি, লুটপাট জারি রাখতে ক্ষমতাসীনরা ক্ষমতার পর্বতচূড়ায় উঠে গেছে মন্তব্য করে রিজভী আহমেদ বলেন, এমন কোনো সেক্টর নেই, যেখানে ক্ষমতাসীনরা দুর্নীতির আখড়া বানায়নি। তাই মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে মানুষের মন ভোলানোর ব্যর্থ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। রেন্টাল ও কুইক রেন্টালে বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্পের নামে দেশে হরিলুট চলছে। এর নামে যারা হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করছে, তারা সরকারেরই ঘনিষ্ঠ লোক ও শীর্ষ নেতাদের আত্মীয়স্বজন।

দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি সম্পর্কে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘বন্যায় খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির অভাবে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছে মানুষ। বিএনপির পক্ষ থেকে আমরা বারবার বন্যাদুর্গতদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আহ্বান জানিয়ে এসেছি। বিএনপির পক্ষ থেকে সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।’ কিন্তু সরকারের মন্ত্রীরা ত্রাণ সহায়তা নিয়ে পাড়া-জাগানো চিৎকার করলেও বন্যাদুর্গতদের কাছে এখনো সরকারি ত্রাণ পৌঁছায়নি বলে মন্তব্য করেন তিনি।