মাকে বেঁধে রেখে মেয়েকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ

নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার তিস্তার দুর্গম চরে মাকে বেঁধে রেখে মেয়েকে (২৭) তুলে নিয়ে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় রোববার গভীর রাতে মেয়েটির বাবা কলিম উদ্দিন বাদী হয়ে ডিমলা থানায় ৯ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন।

এদিকে নীলফামারী সদর আধুনিক হাসপাতালে ডাক্তারি পরীক্ষায় মেয়েটিকে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে বলে নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের গাইনি বিশেষজ্ঞ ডা. সুলতানা রাজিয়া। বর্তমানে নীলফামারী আধুনিক হাসপাতালে ৬নং ওয়ার্ডে পুলিশ পাহারায় মেয়েটির চিকিৎসা চলছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রোববার ভোরে ঝুনাগাছ চাপানি ইউনিয়নর দুর্গম চর পশ্চিম ছাতুনামায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে মা ফাতেমা বেগমকে (৬০) বাড়ির উঠানে বেঁধে রেখে তিন সন্তানের জননী ওই মেয়েকে তুলে নিয়ে যায় আসামিরা। পরে নির্জন স্থানে নিয়ে হাত-পা বেঁধে একই এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে আব্দুর রহিম (৩০) মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। বিকেলে বাড়ি থেকে এক কিলোমিটার দূরে মুমূর্ষু অবস্থায় হাত-পা বাঁধা অবস্থায় মেয়েটিকে এবং জামাতা রশিকুল ইসলামের বাড়ির উঠানে রশি দিয়ে বাঁধা অবস্থায় ফাতেমা বেগমকে উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ঘটনায় দায়ের করা মামলার আসামিরা হলেন- পশ্চিম ছাতুনামা গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে আব্দুর রহিম (৩০), একই গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে দেলওয়ার (৩৮), মিস্টার (৩৪), মৃত আইজুল হকের পালিত ছেলে ফিরিজুল (৩৫), ছাটি মামুদের ছেলে নুর মোহাম্মদ (৪৫), মোখলেছার রহমানের ছেলে ফরিদুল ইসলাম (৩৫), আলমগীর হোসেন (৩০), অভয় চরন রায়ের ছেলে নির্মল চন্দ্র (৪০) ও পেন কাটুর ছেলে মঙ্গলু (৪০)।

মামলার বাদী কলিম উদ্দিন বলেন, জামাতা রশিদুল ইসলাম বাড়িতে না থাকায় আমার স্ত্রী ফাতেমা বেগম মেয়েসহ নাতনী রেখা (৭), পারভীন (৩) ও নাতি সবুজকে (৫) নিয়ে জামাই বাড়িতে বসবাস করত। রোববার ভোরে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে মামলার আসামিরা মেয়ের ঘরে প্রবেশ ঢুকে তার হাত-পা বেঁধে কাঁধে করে তুলে নিয়ে যায়। এ সময় তারা আমার স্ত্রীকে জামাতার বাড়ির উঠানে রশি দিয়ে বেঁধে রাখে। আমার নাতনি রেখা আক্তারের আর্তচিৎকারের স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসে।

ডিমলা থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহাবুদ্দিন বলেন, মেয়েটির বাবা ৯ জনের নামে মামলা করেছেন। আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।