মাছভাজা না পেয়ে জামাইকে গুলি!

কপালে দুর্ভোগ থাকলে কে খণ্ডাবে! শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন জামাই। আর সেখানে গুলিবিদ্ধ হয়ে এখন হাসপাতালে ভর্তি জামাই নিপুল রায়। আর এই ঘটনার পেছনে রয়েছে শুধুই মাছভাজা।

সোমবার রাতে ভারতের তুফানগঞ্জ থানার নাটাবাড়ির চাড়ালজানি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। হরীশ দাসের জামাই নিপুল রায়কে এই ঘটনার পরে প্রথমে কোচবিহার জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়। তবে পুলিশ এক কথায় একে মাছভাজা নিয়ে বিবাদ বলে মানতে নারাজ।

জেলা পুলিশ সুপার অনুপ জায়সবাল বলেন, “নিছক মাছ ভাজা দিতে আপত্তি করা নিয়ে বিবাদ, না অন্য কারণে এমন ঘটনা, তা স্পষ্ট করে বলা সম্ভব নয়। তদন্তে সব কিছুই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ”

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, হরিশের বাড়ির কাছে কোথায় সম্ভবত মদের আসর বসিয়েছিল কয়েক যুবক। রাতে তারা মোটরবাইকে চেপে মদের সঙ্গে খাওয়ার জন্য মাছভাজা খুঁজতে বের হয়। কয়েক বাড়িতে খোঁজও করে। তেমনই হরিশের বাড়িতেও ঢুঁ মারে তারা। বাড়ির লোক জানিয়ে দেয়, মাছভাজা নেই। এই নিয়ে বাদানুবাদ শুরু হয়। সেই সময়ে নিপুল বেরিয়ে আসে। হঠাৎই যুবকদের একজন গুলি চালায়। পুলিশকে স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জানান, এলাকায় সন্ধ্যার পর মদ্যপদের দৌরাত্ম্য বেড়েছে।

কিন্তু , এমন ঘটনা হঠাৎ ঘটল কী করে? অভিযুক্তরা বন্দুকই বা পেল কোথায়? পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, যে দু’জন ওই বাড়িতে গিয়েছিলেন, তাদের মধ্যে একজন নাটাবাড়ির বাসিন্দা। তিনি সক্রিয় তৃণমূলকর্মী হিসেবে পরিচিত। অন্যজন এলাকায় পরিচিত নন। যার বাড়িতে ওই ঘটনা ঘটেছে, তিনিও তৃণমূলের সমর্থক হিসেবে পরিচিত। পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত ওই ব্যাপারে কোন অভিযোগ হয়নি। তবে পারিবারিক বা অন্য কোন গোলমালের জেরে ওই ঘটনা কি না, তা-ও তদন্তে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বেআইনি অস্ত্র এরা কোথা থেকে পেল, তা-ও দেখা হচ্ছে। নাটাবাড়ি ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান সুভাষিণী রায় বলেন, “বিষয়টি শুনেছি। এটুকু বলতে পারি ওই ঘটনায় রাজনৈতিক কোন ব্যাপার নেই। তদন্ত হলে সব স্পষ্ট হয়ে যাবে। ”