মানব পাচারে জড়িত থাকায় থাই জেনারেলের ২৭ বছরের কারাদণ্ড

মানব পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে থাই সেনাবাহিনীর এক লেফটেন্যান্ট জেনারেলকে ২৭ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে দেশটির আদালত। মানাস কংপেন নামের এই কর্মকর্তাসহ মোট ৬০ জনের বিরুদ্ধে মানব পাচারে অভিযোগ গঠন করেছেন ওই আদালত।

মানাস কংপেন মানবপাচারকারীদের অন্যতম নিরাপদ রুট থাইল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলের নিরাপত্তা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন। মানব পাচার রোধে ২০১৫ সালে আটক করে থাই পুলিশ। সেনা নিয়ন্ত্রিত থাইল্যান্ডে কোন সেনা কর্মকমর্তার মানব পাচারের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার ঘটনা এটাই প্রথম।

জেনারেল মানাস কংপেনের বিরুদ্ধে মানব পাচারের অভিযোগ ছাড়াও ঘুষ নেয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। তিনি পাচারকারীদের কাছ থেকে কয়েক কোটি টাকার বিনিময়ে পাচারকারীদের জঙ্গলের মধ্যে সুনির্দিষ্ট ক্যাম্পে যাওয়ার পথ দেখিয়ে দিতেন। এভাবে তিনি এক হাজারের চেয়ে বেশি রোহিঙ্গাকে নৌকায় করে সাগর পার করিয়েছেন।

অভিযুক্ত বাকিদের বিরুদ্ধেও রায় ঘোষণা করা হয়েছে। তবে বিস্তারিত রায় পেতে আরও কিছুটা সময় লাগবে। দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে রাজনীতিক এবং পুলিশ কর্মকর্তারাও রয়েছেন।

দোষী সাব্যস্ত হওয়া অন্যদের আন্তঃদেশীয় অপরাধ, বলপূর্বক আটকে রেখে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়া এবং ধর্ষণের দায়ে মতো অপরাধের দায়ে সাজা দেয়া হয়েছে।রোহিঙ্গা

২০১৫ সালে থাই-মালয়েশীয় সীমান্ত এলাকার জঙ্গলে গণকবর শনাক্তের পর পাচারকারীদের বিরুদ্ধে ব্যাপক ধরপাকড় শুরু হয়। অভিযুক্তদের মধ্যে লেফটেন্যান্ট জেনারেল মানাস কংপেন, পুলিশ কর্মকর্তা, স্থানীয় রাজনীতিবিদ এবং মিয়ানমারের নাগরিকরা রয়েছেন।

ওই ঘটনার পর মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের থাইল্যান্ড হয়ে মালয়েশিয়ায় পাচার করা এবং আটকে রেখে মুক্তিপণ আদায়ের বিষয়গুলো সামনে আসে। ওই বছরই তাদের বিচার কার্যক্রম শুরু হয়। তবে এখন পর্যন্ত গণকবর শনাক্ত হওয়া এবং ময়না তদন্তের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি থাইল্যান্ড।

মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, ২০১৫ সালের ধরপাকড় ও বিচার কার্যক্রম শুরু হওয়ার পরও পাচারকারী নেটওয়ার্কের অনেকগুলোই অধরা রয়েছে। এখনও সেগুলো বেশ সক্রিয় আছে বলে দাবি করছে তারা।