মানসিক ভারসাম্যহীন নারীকে নগ্ন করে পিটিয়ে হত্যা

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার রঘুনাথগঞ্জে এক নারীকে ছেলেধরা সন্দেহে পিটিয়ে হত্যা করেছে স্থানীয় জনগণ। বিষয়টি সীমানার এপারে বাংলাদেশের সোশ্যাল মিডিয়ায় উত্তাপ ছড়িয়েছে। নগ্ন করে, চুল কেটে মর্মান্তিকভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয় ওই নারীকে। বাঁচার জন্য চিৎকার করলেও কেউ আসেনি, যারা এসেছে তারা তাকে কয়েক ঘা মেরে গেছে। এ ব্যাপারে অবশ্য নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে নিশ্চিতভাবে কিছু জানা যায়নি।

মোহর শেখ নামের একজন ফেসবুক ব্যবহারকারীর মাধ্যমে বাংলাদেশে এই ঘটনা ছড়ায়। মুর্শিদাবাদ জেলায় বসবাসকারী মোহর শেখ নিজের ফেসবুকে লিখেছেন, রঘুনাথগঞ্জ ২ ব্লকের সেকেন্দ্রা অঞ্চলের কিছু অশুভ লোক মর্মান্তিকভাবে হত্যা করল বছর ৪০ বছরের ওতেরা বিবিকে। এদিন মেয়েটি ঈদ উপলক্ষে শ্বশুর বাড়ি (কেষ্ট সাইল) থেকে মায়ের বাড়ি (মিঠিপুর অঞ্চলের পানানগর গ্রাম)আসছিল।

মোহর শেখ আরো লিখেছেন, মানসিক ভারসাম্যহীন ওই মহিলাটি ভুল করে সেকেন্দ্রা অঞ্চলে ঢুকে পড়লে তাকে ছেলে ধরা অপবাদ দিয়ে ট্রাক্টরের সাথে বেঁধে গণপিটুনি শুরু করে স্থানীয়রা। কয়েকজন বাঁশ দিয়ে সজোরে আঘাত করে। ৪ গাড়ি পুলিশ তখন ঘটনাস্থলে উপস্থিত। পুলিশের চোখের সামনে তাকে তিল তিল করে মরতে হলো। নিরাপরাধ মহিলা কোন সুবিচার পেল না।

তিনি আরো লিখেছেন, ৯৮ ভাগ মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়া মহিলাটিকে পুলিশ হসপিটালে নিয়ে গেলে ডাক্তাররা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। একজন অসহায় মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলাকে এই ভাবে পিটিয়ে হত্যা করল সেকেন্দ্রার অধিবাসীরা। এর বিচার চাই। সেকেন্দ্রার (সন্ত্রাসের আতুর ঘর)।

মোহর শেখ বলেন, জগতের যেখানেই যে জাতি নারীর অসম্মান করবে, সেই জাতিরই পতন নিশ্চিত…লজ্জা পাওয়া উচিত পুলিশ প্রশাসনেরও। কারণ সমস্ত কর্মকান্ড তাদের সামনেই ঘটেছে। এখানে গণপিটুনি, মারা যাওয়ার ও পোস্ট মর্টেমের (ময়না তদন্ত) জন্য নিয়ে যাওয়ার কিছু ছবি আপলোড করলাম।