মিজান উদ্ভাবন করলেন স্টিয়ারিংযুক্ত মোটরসাইকেল!

যশোরের শার্শা উপজেলার নাভারণের সেই বিজ্ঞানী মিজানুর রহমান এবার দেশে প্রথম স্টিয়ারিংযুক্ত মোটরসাইকেল উদ্ভাবন করে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন। নিজের উদ্ভাবিত স্টিয়ারিংযুক্ত ভিন্নধর্মী এ মোটরসাইকেল চালিয়ে সম্প্রতি যশোর প্রেস ক্লাবে এসে মিজান নিজের সৃষ্টির গল্প শোনালেন। একই সঙ্গে তাঁর উদ্ভাবিত গ্রামীণ অ্যাম্বুল্যান্স তৈরির কাজ এগিয়ে চলছে দ্রুতগতিতে। কিছুদিনের মধ্যেই দেশের প্রতিটি ইউনিয়নে এই অ্যাম্বুল্যান্স রোগী বহন করবে।

স্টিয়ারিংযুক্ত মোটরসাইকেল সম্পর্কে মিজানের ভাষ্য, ‘এই মোটরসাইকেলে দুর্ঘটনার ঝুঁকি কম এবং এটি আরামদায়ক। এতে চড়লে আলাদা অনুভূতি জাগে। ট্যাক্সি ট্যাক্সি মনে হয়। সহজে ঘোরানো যায়। প্রতিটি মোটরসাইকেলের দাম ৬০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা। ’ মিজান বলেন, ‘এরই মধ্যে আমি একটি মোটরসাইকেল তৈরি করে ব্যবহার করছি। আর এটি দেখে অনেকেই স্টিয়ারিংযুক্ত মোটরসাইকেল কিনতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।’

গ্রামীণ অ্যাম্বুল্যান্স সম্পর্কে মিজান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এটুআই প্রকল্পের অধীনে এখন আমার উদ্ভাবিত গ্রামীণ অ্যাম্বুল্যান্স নির্মাণের কাজ চলছে। এরই মধ্যে অর্ধেক কাজ শেষ হয়েছে। ১৫০ সিসি মোটরসাইকেলের ইঞ্জিনের সাহায্যে এই অ্যাম্বুল্যান্স গ্রামীণ রাস্তায়ও চলতে পারবে।

একজন রোগী, চালকসহ পাঁচজন যাত্রী টানতে পারবে অ্যাম্বুল্যান্সটি। তা পেট্রল ও গ্যাসে চলবে। ’ মিজান জানান, প্রধানমন্ত্রী তাঁর উদ্ভাবিত ছোট জিপগাড়ি দেখে তাঁকে উৎসাহ দিয়েছেন। কর্মকর্তাদের মিজানের উদ্ভাবনকে সহায়তা করতে বলেছেন। তিনিই গ্রামীণ অ্যাম্বুল্যান্স নির্মাণের পরামর্শ দেন। পরে এটুআই প্রকল্পের কর্মকর্তারা গ্রামীণ অ্যাম্বুল্যান্স নির্মাণে আগ্রহ দেখান।

মিজান জানান, তিনি এখন ধোঁয়া নিয়ে কাজ করছেন। ধোঁয়া দিয়ে বিকল্প জ্বালানি উদ্ভাবনে তিনি সফল হয়েছেন। এই সফলতা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। এ ছাড়া মিজানের জ্বালানি ছাড়া গ্রামীণ বিদ্যুৎ উন্নয়ন প্রকল্প, স্বয়ংক্রিয় সেচযন্ত্র, ফায়ারপ্রুফ জ্যাকেট, পরিবেশ সেফটি যন্ত্র, স্বয়ংক্রিয় অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র, ডিজিটাল কাইচি (কাঁচি), নতুন নতুন এই উদ্ভাবন দেশে ও বিদেশে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে। কিন্তু মিজানের কোনো আধুনিক গবেষণাগার, ওয়ার্কশপ বা যন্ত্রপাতি—কিছুই নেই। তিনি একজন সামান্য মোটরসাইকেল মিস্ত্রি। সহযোগিতার হাত বাড়াতে তিনি সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।