মিথ্যা প্রচারণায় চালের বাজার অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চলছে

দেশে চালের কোনো সংকট নেই জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, হাওর এলাকায় পানি ও বন্যার কারণে ধান উৎপাদনে যে ক্ষতি হয়েছে, ভারতসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করে তা পূরণ করা হচ্ছে। কিন্তু একটি কুচক্রি মহল ভারত সরকারের একটি স্বাক্ষরবিহীন মিথ্যা চিঠির মাধ্যমে বাংলাদেশে চাল রপ্তানি নিয়ে মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে চালের বাজার অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে।

বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ভারতসহ বিভিন্ন দেশ থেকে প্রতিদিন চাল আমদানি হচ্ছে। বেসরকারি পর্যায়ে প্রতিদিন ট্রাকে করে চাল আসছে দেশে। ভারত সরকারের একটি স্বাক্ষরবিহীন মিথ্যা চিঠির মাধ্যমে বাংলাদেশে চাল রপ্তানি বন্ধের বিষয়ে যে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে তাতে অসাধু ব্যবসায়ীরা জড়িত থাকতে পারে। ভারত সরকার চাল রপ্তানি বন্ধ করেনি বা এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেনি। এ ধরনের স্বাক্ষরবিহীন মিথ্যা চিঠিতে বিভ্রান্ত হওয়ার কারণ নেই।

‘কিছু পত্র-পত্রিকায় এর ওপর ভিত্তি করে এ সংবাদ প্রচার করা হয়েছে, যা সঠিক নয়। দেশ ও জাতির স্বার্থে সাংবাদিকদের সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে আরো দায়িত্বশীল ও যত্নবান হওয়ার জন্য আহ্বান জানান বাণিজ্যমন্ত্রী।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, চালের সরবরাহ ও মূল্য স্থিতিশীল রাখতে সরকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। খোলাবাজারে ন্যায্য মূল্যে চাল বিক্রয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অবিলম্বে দেশের সাধারণ মানুষ এ চাল ক্রয় করতে পারবেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, চালের কোনো সংকট নেই। প্রয়োজনীয় চাল মজুত রয়েছে। বাজারে পর্যাপ্ত চালের সরবরাহ রয়েছে। হাওর এলাকায় পানি প্রবেশ এবং বন্যার কারণে যে ক্ষতি হয়েছে, চাল আমদানি করে তা পূরণ করা হচ্ছে।

অবৈধ মজুতদারদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হচ্ছে জানিয়ে তোফায়েল বলেন, চালের কৃত্তিম সংকট তৈরি করা চলবে না। যারা অবৈধভাবে চালের মজুত করছে তারা সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য এসব করছে। এসব অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ দেশের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে অভিযান পরিচালনার নির্দেশ দেন মন্ত্রী।