মিরপুরে ‘ব্লু হোয়েল’ আক্রান্ত কিশোর, ঢামেকে ভর্তি

রাজধানীর মিরপুরের ১৭ বছর বয়সী এক কিশোরকে অসুস্থ অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সে কৌতূহলবসত ব্লু হোয়েল খেলত। তার নির্দেশনা মানতে মানতে নিজের শরীরে ব্লেড দিয়ে ক্ষত করেছে সে। গেমটির শেষের স্টেজে সে আত্মহত্যার জন্য ঘুমের ওষুধ খায়।

ওই কিশোর বলেন, ‘চ্যালেঞ্জিং হওয়ায় আমি গেমটি খেলা শুরু করি। নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ ভালো লাগত। অ্যাডমিনরা অনেক সময় অপমান করে কথা বলত, আমাকে বোকা বলত। তাই আমি চ্যালেঞ্জগুলো পার করতাম। এখন একটু অসুস্থ বোধ করছি। আম্মুকে বলেছিলাম এখানে আনলে আমি ভালো হব না। তাও আমাকে নিয়ে এসেছে।’

ওই কিশোর বর্তমানে ঢামেক হাসপাতালের নতুন ভবনের ওয়ার্ডের একটি পেয়িং বেডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। চিকিৎসকরা তার ডান হাতে ক্ষতচিহ্ন দেখতে পেয়েছেন। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে তাকে প্লাজমা (সাদা রক্ত) দেয়া হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কিশোরের বাবা বলেন, ‘গেম খেলতে খেলতে নির্দেশ এসেছিল তাতে সে অসুস্থ হয়ে যায়। এরপরই তাকে ঢামেকে নিয়ে আসি। এর চেয়ে বেশি কিছু বলতে পারব না।’

এর আগে, গত বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) সেন্ট্রাল রোডের একটি বাড়ি থেকে অপূর্বা বর্ধন স্বর্ণা নামে এক স্কুলছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মরদেহের সুরৎহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হয়েছে। তবে ব্লু হোয়েলের নির্দেশনায় সে আত্মহত্যা করেছে কি না সে বিষয়ে এখনো নিশ্চিত নয় পুলিশ। তার শরীরের কোথাও ব্লু হোয়েল আকার চিহ্ন নেই। তবে অনেকেই বলছেন, সে ব্লু হোয়েল নির্দেশে আত্মহত্যা করেছে।

একটি আন্তর্জাতিক পত্রিকার বলছে, প্রাণঘাতী এই গেমটির ব্ল্যাকমেইলের শিকার হয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রায় ১৮০ জন আত্মহত্যা করেছে। এ গেমের আসল অ্যাডমিন বুদেকিন আটক করা হলেও বিভিন্ন দেশে এর অ্যাডমিন থাকায় তাদের কার্যক্রম বন্ধ করা সম্ভব হয়নি। ফলে গেমের প্রভাব এখন ছড়িয়ে পড়ছে সারা বিশ্বে।