মুমিনুলকে দলে না রাখার কারণ কী?

মুমিনুল হক আর মাহমুদুল্লাহ রিয়াদকে বাদ রেখে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড-বিসিবি।

টেস্ট দলে রাখা হয়েছে হার্ড-হিটার ব্যাটসম্যান সৌম্য সরকার, সাব্বির রহমান ও জাতীয় দলে বরাবরই বাজে পারফর্ম করা লিটন দাসকে।

স্বভাবতই দল ঘোষণার সময় প্রেস কনফারেন্সে মুমিনুলকে নিয়ে অসংখ্য প্রশ্ন আসে সাংবাদিকদের কাছ থেকে।

প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু দাবি করেছেন, সম্প্রতিক ফর্ম বিবেচনায় নিয়ে দল ঠিক করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, মুমিনুলে কোনো দুর্ভাগ্য নেই। তার ফর্মের কারণেই সে বাদ পড়েছে। মুমিনুল গত ৬ টেস্টে মাত্র একটি অর্ধশতক করতে পেরেছেন। অন্যদিকে সৌম্য গত ৮ ইনিংসে ৪টি অর্ধশতক করেছেন। মুমিনুলের চেয়ে ইমরুল ও সৌম্য এগিয়ে রয়েছেন।

সাম্প্রতিক পরিসংখ্যানে অবশ্য তা বলে না। পারফরম্যান্সে সৌম্য-সাব্বিরের তুলনায় অনেক এগিয়ে রয়েছেন মুমিনুল।

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রস্তুতি হিসেবে কিছুদিন আগে চট্টগ্রামে একটি তিনদিনের প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছিল বাংলাদেশ টিম। ওই খেলায় মুমিনুল করেছিল ৭৩ রান। যা ছিল দুই দলের মধ্যে সর্বোচ্চ।

অন্যদিকে সৌম্য ১ ও সাব্বির করেছিলেন ১০ রান।

আরও বড় পরিসরে দেখলে, ২০১৬ সাল থেকে বাংলাদেশ টেস্ট ম্যাচ খেলেছে ৭টি।

এ সময়ে চারটি টেস্ট খেলে সৌম্য ৪৬.৭৫ গড়ে করেছেন ৩৭৪ রান। সাব্বির ৬ টেস্টের ক্যারিয়ারে ৩৩ গড়ে ৩৩০ রান করেছেন। আর মুমিনুল এ সময়ে পাঁচ টেস্টে ২৩.২ গড়ে ২৩২ রান করেছেন।

কাঠখোট্টা এই পরিসংখ্যানের বাইরেও টেস্টে অনেক হিসাব থাকে। এখানে অনেক সময় রানের চেয়ে ক্রিজে টিকে থাকাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সাব্বির ও সৌম্যের তুলনায় মুমিনুল সবসময়ই ধৈর্যশীল ব্যাটসম্যান। আর অভিজ্ঞতার দিক থেকে তো মুমিনুলের ধারের কাছেও কেউ নেই। মুমিনুলের রয়েছে ২২ টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতা। অন্যদিকে সৌম্য-সাব্বির মিলে খেলেছেন মোট ১৩ টেস্ট।