মুলাদীতে একই রশিতে প্রেমিক-প্রেমিকার আত্মহত্যা

বরিশালের মুলাদীর সফিপুর গ্রামে এক রশিতে আত্মহত্যা করেছে প্রেমিক যুগল। গতকাল শুক্রবার সকালে ওই গ্রামের ফরিদা বেগমের পরিত্যক্ত ঘরের আড়া থেকে ওই প্রেমিক যুগলের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। আত্মহত্যাকারী প্রেমিক সোহেল (১৯) সফিপুর গ্রামের মৃত দলিল উদ্দিন হাওলাদারের ছেলে এবং প্রেমিকা জান্নাতুল ফেরদৌস টিয়া (১৯) একই গ্রামের দুলাল বেপারীর মেয়ে। তারা দু’জনে উপজেলার সৈয়দ বদরুল কলেজের এইচএসসি’র দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিল।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সোহেল ও টিয়া প্রাইমারী থেকে উচ্চ মাধ্যমিক এবং সর্বশেষ কলেজে একই সাথে লেখাপড়া করে আসছিল। স্কুল থেকেই তাদের সাথে প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছে। কিন্তু এ প্রেম মেনে নিতে পারেনি টিয়ার পরিবার। এ কারণে সোহেল ও টিয়া দু’বার পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে উভয় পক্ষের পরিবারের লোকজন উদ্ধার করে যে যার বাড়িতে ছেলেমেয়েকে নিয়ে যান। এরপর বিভিন্ন মাধ্যমে টিয়ার পরিবারকে বোঝানোর চেষ্টা চলে টিয়ার সাথে সোহেলের বিয়ের বিষয়টি। কিন্তু টিয়ার পিতা কোনভাবে এ বিয়েতে রাজী হননি।

ধারনা করা হচ্ছে এর জের ধরে গত শুক্রবার গভীর রাতের কোন এক সময় সোহেল ও টিয়া ঘর থেকে বের হয়ে পরিত্যক্ত ওই ঘরে গিয়ে একই দড়িয়ে ফাঁসে আত্মহত্যা করে। গতকাল টিয়া ও সোহেলের পরিবার তাদেরকে না পেয়ে প্রথমে ধারণা করে তারা আবার পালিয়েছে।

পরবর্তীতে গ্রামবাসী ওই ঘরে সোহেল ও টিয়ার ঝুলন্ত লাশ দেখে পুলিশ ও উভয়ের পরিবারকে খবর দেয়। পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। সোহেলের মা ফকরুন্নেছা বেগম জানান, টিয়ার পিতার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করবেন। মুলাদী থানার ওসি মতিউর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানিয়েছেন, উভয়ের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরন করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের হয়েছে।