মেসির বিয়েতে দাওয়াত পেলেন রেস্তোরাঁকর্মীও

ডিয়েগো ভায়েহসের নাম আর্জেন্টিনার সবচেয়ে বিখ্যাত ‘ডিয়েগো’র নামে অনুপ্রাণিত বোধ হয়। এই নাম যিনি রেখেছেন, কে জানে, হয়তো তাঁরও স্বপ্ন ছিল বড় হয়ে ভায়েহস ম্যারাডোনার মতো হবেন! না, ভায়েহস তা হতে পারেননি। তবে তাঁর সবচেয়ে কাছের বন্ধু ম্যারাডোনার কাছাকাছি উচ্চতায় চলে গেছেন। কারও কারও চোখে প্রতিভায় তিনি ম্যারাডোনার চেয়েও বড় কিছু—লিওনেল মেসি।

মেসি ফুটবল প্রতিভায় আসলেই ম্যারাডোনাকে পেরিয়ে গেছেন কি না, তা নিয়ে বিতর্ক হতে পারে। তবে মানুষ মেসি যে বাকি ফুটবল দুনিয়ার চেয়ে অন্য রকম, তা বারবার প্রমাণিত হয়েছে। আবারও প্রমাণিত হলো। মেসি তাঁর জীবনের সবচেয়ে বড় মুহূর্তটায় ভোলেননি শৈশবের জানি দোস্ত ভায়েহসকে। তাঁর বিয়েতে যে ২৫০ জন অতিথি নেমন্তন্ন পেয়েছেন, ভায়েহসও আছেন এর মধ্যে। পেশায় ওয়েটার ভায়েহসকে দাওয়াত দিতে ভোলেননি মেসি।

নেইমার, সুয়ারেজদের মতো বর্তমান তারকা; জাভি-পুয়োলের মতো সাবেক তারকা; শাকিরার মতো পপ সুপারস্টার—এত এত মহা তারকার ভিড়ে দাওয়াত পেয়ে একটুও অবাক নন ভায়েহস। তিনি জানতেন, বন্ধু মেসি যত বড় তারকাই হোক; বাচ্চাকালের ধুলোয় গড়াগড়ির সেই সম্পর্কটাকে অস্বীকার করতে পারবে না। ভায়েহসের আসল ‘টেনশন’ বরং চুলের ছাঁট নিয়ে। নেইমারদের চুলের ফ্যাশনের সঙ্গে পাল্লা দিতে হবে তো! এ কারণে কয়েক মাস ধরে চুল কাটাই বন্ধ করেছেন। বিয়ের ঠিক আগে যেন ইচ্ছেমতো ছাঁটটা দিতে পারেন।

মেসির এই দাওয়াতের খবর এরই মধ্যে ভাইরাল হয়েছে সামাজিক মাধ্যমে। সেখানে সবাই বেশ প্রশংসা করছে। মেসি প্রশংসা পাচ্ছেন আরও একটি কারণে। বিয়ের অনুষ্ঠান করছেন আর্জেন্টিনার শহর রোজারিওতে; বড় বিখ্যাত কোনো দ্বীপে নয়। এই রোজারিওতেই তো তাঁর সবকিছুর শুরু। এমনকি আন্তোনেলা রোকুজ্জোর সঙ্গে পরিচয়, প্রেমটাও! ৩০ জুন সেই প্রেমের সম্পর্কটা রূপ নিতে যাচ্ছে স্বর্গীয় এক বন্ধনে।