মেসির বিয়েতে বিশাল খাদ্যতালিকা, নিষেধাজ্ঞা উপহারে

আগামী শুক্রবার সেই প্রতীক্ষিত দিন। দীর্ঘদিনের বান্ধবী আন্তোনেলা রোকুজোর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হবেন লায়োনেল মেসি। গোটা ফুটবল দুনিয়ার নজর থাকবে রোজারিওর সিটি সেন্টার ক্যাসিনো কমপ্লেক্সের দিকে। এখানেই বসছে বিয়ের আসর। আমন্ত্রিতের সংখ্যা প্রায় ৮০০। এর মধ্যে ২৫০ জন ভিআইপি। বার্সেলোনার ফুটবলাররা তো থাকবেনই এই অনুষ্ঠানে। বিশেষ আমন্ত্রণ পাঠানো হয়েছে কার্লোস পুওল ও জাভি হার্নান্ডেজকে। মেসির আশা, আসবেন ডিয়েগো আর্মান্দো ম্যারাডোনাও। তবে আমন্ত্রণ পাননি বার্সেলোনার সদ্যপ্রাক্তন কোচ লুই এনরিক।

মহাতারকার বিয়ের খাদ্যতালিকা ইতিমধ্যেই ফাঁস করে দিয়েছে আর্জেন্টিনার একটি টিভি চ্যানেল। লিও মেসির ট্যুইটার অ্যাকউন্টে মিলেছে তার ছবিও। প্রায় তিরিশ রকমের খাবারের এলাহি ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। থাকবে বিফ, পর্ক ও চিজের একাধিক মসলাদার পদ। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য ব্রেসাওলা (নুন ও মশলা মাখিয়ে প্রায় তিন মাস বিশেষ প্যাকেটের মধ্যে রাখা থাকে বিফ), সালামে প্রিমিয়াম (পর্ক, ওয়াইন, নুন, চিনি ও রসুনের অনবদ্য সংমিশ্রণ), লোমিতো আ লাস হিয়েরবাস (আর্জেন্তিনার বিখ্যাত পর্ক স্যান্ডউইচ), চিকেন চপসি, পাস্তা। এছাড়া বিভিন্ন রকমের স্যালাড এবং পানীয় তো থাকবেই। গোশত যারা পছন্দ করেন না তাদের জন্য বিশেষ ‘সুশি স্টেশন’-এর ব্যবস্থা রাখছেন মেসি।

বৃহস্পতিবার থেকেই সিটি সেন্টার ক্যাসিনো কমপ্লেক্স মুড়ে ফেলা হবে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায়। স্থানীয় পুলিশ ছাড়াও মোতায়েন থাকবে প্রায় দু’শো ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী। কমপ্লেক্সের বাইরে ব্যবস্থা করা হয়েছে ছ’টি জায়ান্ট স্ক্রিনের। অনুরাগীরা তাতেই সরাসরি দেখতে পাবেন প্রিয় নায়কের বিবাহ অনুষ্ঠান। মেসি এবং আন্তোনেলরা পক্ষ থেকে আমন্ত্রিতদের কোনও উপহার আনতে বারণ করা হয়েছে। তবে লিও মেসি ফাউন্ডেশনকে কেউ যদি আর্থিক সহযোগিতা করেন তাতে দু’জনেরই আপত্তি নেই। উল্লেখ্য, মেসির এই সংস্থা শিশুদের স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও খেলাধূলার দায়িত্ব নেয়।

এদিকে, প্রাণের ক্লাব বার্সেলোনার সঙ্গে ২০২১ পর্যন্ত চুক্তিবদ্ধ হওয়া মেসির কাছে স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। জুলাই মাসেই নতুন চুক্তি সম্পাদিত হবে বলে জানা গিয়েছে। গত ১৩টি মরশুমে বার্সেলোনার ৩০টি ট্রফি জয়ের সাক্ষী এলএমটেন। আয়কর সমস্যায় জড়িয়ে পড়লেও মেসি পাশে পেয়েছেন বার্সেলোনাকে। ক্লাব প্রেসিডেন্ট বার্তোমেউ এদিন জানিয়েছেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে মেসির বাবার সঙ্গে এই ব্যাপারে কথা বলেছি। আইনজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ করেই লিও এবং আমরা এগব। দুশ্চিন্তার কোনো কারণ দেখছি না। আশা করি, জুলাইয়েই আমরা ওকে আগামী চার বছরের চুক্তিকে সই করিয়ে নিতে পারব।’