মেয়র আনিসুল হকসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা

রাজধানীর মিরপুরে ৩৯টি বিহারী ক্যাম্প উচ্ছেদ না করার জন্য চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা চেয়ে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আনিসুল হকসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

বুধবার ঢাকার প্রথম সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে মামলাটি করেন পল্লবী বিহারী ক্যাম্পের ৩৬ জন সদস্য।
আদালত মামলাটি গ্রহণ করেন। মামলা নম্বর- ২৫৯/১৭।

মামলায় উল্লেখযোগ্য বিবাদীরা হলেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আনিসুল হক, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব, মহাপরিচালক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা ঢাকা সিটি কর্পোরেশন, জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান।

মামলার উল্লেখযোগ্য বাদীরা হলেন ফুটবল গ্রাউন্ড ক্যাম্পের বাসিন্দা সাদাকাত খান ফাক্কু, মঞ্জুর রেজা খান, নন-লোকাল মুসলিম ক্যাম্পের বাসিন্দা শাহিন আলী বাবলু, মিল্লাত ক্যাম্পের বাসিন্ধা শাকিল, রাজু, এডিসি ক্যাম্প-২ এর বাসিন্দা আব্দুর রশিদ, এমসিসি ক্যাম্পের বাসিন্দা আনোয়ার, মাদরাসা ক্যাম্পের বাসিন্দা সাদ্দাম হোসেন, রহমত ক্যাম্পের বাসিন্দা হামিদ, কনসান ক্যাম্পের বাসিন্দা হোসেন আরা।

বাদীপক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ মিজানুর বলেন, রাজধানীর পল্লবীতে ৩৯টি বিহারী ক্যাম্প উচ্ছেদ না করার জন্য চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা চেয়ে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আনিসুল হকসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে আদালতে। মূলত বিহারীরা ১৯৪৭ সালে ভারত-পাকিস্তান স্বাধীন হওয়ার পর ভারতীয় নাগরিক হিসেবে বাংলাদেশে আসেন। সেই সময় বাংলাদেশ সরকার ও রেড ক্রিসেন্ট তাদের থাকার ব্যবস্থা করে।

মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, মামলার বিবাদীরা ৪৩ বছর ধরে বিনা বাধায় শান্তিপূর্ণভাবে রাজধানীর মিরপুরের বিভিন্ন বিহারী ক্যাম্পে বসবাস করে আসছেন। ২০১৭ সালের ২১ মে মামলার ২নং বিবাদী গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব নোটিশ ছাড়া পল্লবী থানাধীন সেকশন-১১, কাশমিরী মহল্লা নামক ক্যাম্পে ভাঙচুর চালায়। পরবর্তীতে ২২ মে অন্যান্য ক্যাম্পে ভাঙচুরের প্রচেষ্টা চালায়। ২৩ মে সমঝোতাপত্র স্বাক্ষরিত হয়। সর্বশেষ ১৯ জুন বিবাদীরা মামলার বাদীদের উচ্ছেদের হুমকি প্রদান করেন।

তফসিলে বর্ণিত পল্লবী থানাধীন মিরপুর-১০, ১১ এবং ১২-তে ৩৯টি বিহারী/উর্দুভাষীদের ক্যাম্প রয়েছে। যার ভূমির পরিমাণ ৭৯৭ একর। এসব ভূমিতে বিবাদীরা যাতে প্রবেশ করতে না পারে কিংবা বাদীদের শান্তিপূর্ণ ভোগদখলে বাধা প্রদান করতে না পারে কিংবা উচ্ছেদ/ভাঙচুর করতে না পারে এজন্য আদালতের কাছে চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশের জন্য আবেদন করেন মামলার বাদীরা।