মেয়ে হানিপ্রীতর সঙ্গে সবচেয়ে বেশি রাত কাটিয়েছেন ‘নারী লোভী ভণ্ডগুরু’

বাবার ব্যথা একমাত্র সে সারাতে পারে। তাই তাকেও থাকতে দেওয়া হোক বাবার সঙ্গে। এই দাবিতেই রোহতকের জেলের সামনে ধরনায় বসেছিল নারী লোভী বাবা রাম রহিমের পালিত কন্যা হানিপ্রীত। কিন্তু লুক আউট নোটিস জারি হতেই ফেরার বাবার ‘অ্যাঞ্জেল’।

শোনা যাচ্ছে, প্রতিবেশী দেশ নেপালেই পালিয়ে গিয়েছে হানিপ্রীত। ট্রায়াল চলাকালীন ধর্ষক বাবা রাম রহিমকে ফেরার করার চেষ্টা করেছিল হানিপ্রীত। এমনই অভিযোগ আনা হয়েছে তার বিরুদ্ধে। এরপরই জারি হয় লুক আউট নোটিস। নোটিসের খবর পাওয়ার পর থেকেই ফেরার হানিপ্রীত। শোনা গিয়েছে, নেপালে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে সে। সেখান থেকেই বাবার সম্পত্তি দখলের পরিকল্পনা করছে। সূত্রের খবর মানলে, ইতিমধ্যেই হানিপ্রীতের খোঁজে ইন্দো-নেপাল সীমান্তে একটি সার্চ দল পাঠিয়েছে হরিয়ানা পুলিশ। এদিকে আবার আরেকটি সূত্রের দাবি, গুরুগ্রামের কাছে কোনও এক জায়গায় নিজের ইন্টারনেট ডঙ্গল ব্যবহার করেছিল হানিপ্রীত। মনে করা হচ্ছে সেখানে তার সঙ্গে ছিল, ডেরার জনসংযোগ আধিকারিক আদিত্য ইনসানও। দু’জনেই গত ২-৩ ধরে ফেরার।

বছর কয়েক আগে এই হানিপ্রীতকে দত্তক নেয় রাম রহিম। ‘পাপা’স অ্যাঞ্জেল’ নামেই পরিচিত রাম রহিমের পালিতা কন্যা। তবে অনেকেরই দাবি নামেই ‘মেয়ে’, আসলে রাম রহিমের সর্বক্ষণের সঙ্গিনী ছিল হানিপ্রীত। রাতেও ‘বাবা’র গোপন কক্ষে তাঁর অবাধ যাতায়াত। মেয়ে হানিপ্রীতর সঙ্গে সবচেয়ে বেশি রাত কাটিয়েছন ‘রাম রহিম।

হানিপ্রীতের স্বামীও ক’দিন আগেই অভিযোগ করেন, স্ত্রীকে তাঁর কাছে থাকতে দিত না রাম রহিম। হানিপ্রীতের সঙ্গে রাম রহিমের অবাধ শারীরিক নির্যাতন নিয়েও মুখ খোলেন তিনি। বলেন, ডেরা প্রধানের সঙ্গে সম্পূর্ণ খোলামেলা অবস্থায় হানিপ্রীতকে দেখে ফেলেছেন সিরসায়। গোটা বিষয়টিকে সকলের চোখের আড়ালে রাখতেই হানিপ্রীতকে দত্তক নেওয়ার নাটক করেছিল ডেরা সাচা প্রধান।