মোদীর পাশেই দাঁড়ালেন দিদি, ছোট্ট কথায় বড় সমর্থন জানিয়ে দিলেন মমতা

অবশেষে জুলাইয়েই জিএসটি চালুতে সমর্থন দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু সমর্থন দেওয়াই নয়, এমন ভাবে প্রতিক্রিয়া দিলেন যেন অসমর্থনের কোনও প্রশ্নই ছিল না। জিএসটি কার্যকর করার ক্ষেত্রে অনেকটা সাফল্য পেলেও কাঁটা ফুটে ছিল নরেন্দ্র মোদীর গলায়। গিলতেও পারছিলেন না, ওগরাতেও পারছিলেন না। নয়াদিল্লিতে বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকের শেষে কার্যতই স্বস্তি এল প্রধানমন্ত্রীর।

কেন্দ্র আগামী ১ জুলাই থেকে দেশ জুড়ে পণ্য ও পরিষেবা কর (জিএসটি) চালু করার সিদ্ধান্ত নিলেও শেষ মুহূর্তে বেঁকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলিকে চিঠি লিখে জানিয়ে দেন, রাজ্যে জিএসটি চালুর প্রস্তুতি এখনও সম্পূর্ণ নয়। সমস্যা সবচেয়ে বেশি ছোট ব্যবসায়ীদের। কাশ্মীরে জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকেও অর্থমন্ত্রীকে যেতে দেননি মুখ্যমন্ত্রী। তার বদলে দু’জন জুনিয়র অফিসারকে পাঠায় নবান্ন।

বাকি রাজ্য রাজি হলেও জিএসটি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকার বেঁকে বসায় উদ্বেগে ছিল কেন্দ্রীয় সরকার। পশ্চিমবঙ্গ নারাজ হলে জুলাই থেকে জিএসটি চালুর প্রক্রিয়া প্রায় অসম্ভব ছিল। জিএসটি-তে পণ্য বা পরিষেবার উপরে কেন্দ্র ও রাজ্য একসঙ্গে কর বসাবে। এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে পণ্য গেলে তাতে আন্তঃরাজ্য জিএসটি বসবে। সেখানেও কেন্দ্র ও সব রাজ্যকে একসঙ্গে এগোতে হবে। একটি রাজ্যকে বাদ দিয়ে জিএসটি চালু করা সম্ভব নয়। সেই চিন্তা অবশ্য দূর হয়ে গেল।

এ দিন নয়াদিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটি সাংবাদিক সম্মেলন করেন। সেখানে তিনি বলেন, কোনও রাজনীতি নয় সম্পূর্ণ উন্নয়ন বিষয়ক আলোচনা হয়েছে। রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে কোনও আলোচনাই হয়নি। তখনই প্রশ্ন ওঠে, জিএসটি নিয়ে কী নীতি নেবেন তিনি? এর জবাবে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘জিএসটি তো চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। এখন শুধু বিধানসভায় আইন পাশ করাতে হবে।’