ম্যানচেস্টার হামলার ছবি ফাঁস, ট্রাম্পের কাছে নালিশ করবেন মে

যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টারের একটি কনসার্টে হামলার ছবি ও তথ্য প্রকাশ করায় নিউইয়র্ক টাইমস পত্রিকার সমালোচনা করেছে ব্রিটিশ পুলিশ। কর্মকর্তারা বলছেন, এগুলো ফাঁস হওয়ার ফলে পুলিশের তদন্ত কাজকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে এবং মার্কিন গোয়েন্দা বাহিনীর সঙ্গে পারস্পরিক আস্থা বিনিময়ের ক্ষেত্রে সংকট তৈরি করছে। ছবিতে বোমার রক্তমাখা টুকরো, ব্যাটারি এবং বিস্ফোরক জাতীয় বস্তু দেখা গেছে। খবর বিবিসির।

নিউ ইয়র্ক টাইমস বলছে, বোমাটি তুলনামূলক উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন। এছাড়া হামলার বেশকিছু তথ্য মার্কিন বিভিন্ন সূত্র প্রকাশ করেছে। বিষয়টি ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ মোটেও পছন্দ করেনি।

বৃহস্পতিবার ন্যাটোর সম্মেলনে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে তথ্য ফাঁসের বিষয়টি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সামনে তুলে ধরবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাম্বার রাড বলেন, অনুসন্ধান সংক্রান্ত কার্যক্রমের স্বার্থে তথ্যের ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ রাখতে চায় ব্রিটিশ পুলিশ। ফলে এটা অন্যান্য মাধ্যমে প্রকাশিত হলে সেটা অবশ্যই বিরক্তিকর হওয়ার কথা।

মার্কিন পপ সংগীত শিল্পী অ্যারিয়ানা গ্রান্ডের কনসার্ট শেষে ওই হামলা চালানো হয়। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে এ পর্যন্ত সাতজনকে আটক করেছে পুলিশ।

সোমবার রাতের ওই আত্মঘাতী হামলায় ২২ জন প্রাণ হারিয়েছেন এবং আহত হয়েছেন আরো ৬৪ জন। ইতোমধ্যেই ওই হামলার দায় স্বীকার করেছে জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস)।

এদিকে, ম্যানচেস্টার এরিনাতে আত্মঘাতী হামলাকারী সালমান আবেদির আবেদির বাবা রমাদান এবং ছোট ভাই হাসেমকে লিবিয়ার মিলিশিয়ারা আটক করেছে। অপরদিকে মঙ্গলবার তার বড় ভাই ইসমাইলকে দক্ষিণ ম্যানচেস্টারের সোরলোটন থেকে আটক করা হয়েছে।

হামলাকারী সালমান আবেদির বিষয়ে তথ্য প্রকাশ করায় এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি বিরক্তি প্রকাশ করেন অ্যাম্বার রাড। তিনি বলেন, ‘এমনটা কখনোই ঘটা উচিত নয়’।

পুলিশের ধারণা সোমবার রাতের ওই হামলার পেছনে একটি নেটওয়ার্ক কাজ করেছে। নিরাপত্তা বাহিনীর বিশ্বাস, হামলায় ব্যবহৃত বিস্ফোরক হামলাকারীর নিজের তৈরি নয়। বোমা তৈরির সূত্র খুঁজে বের করতে জোর তৎপরতা চালাচ্ছে নিরাপত্তা বাহিনী।

এদিকে, কনসার্ট শেষ হতে না হতেই বিস্ফোরণের ঘটনায় ইউরোপ সফরের ঘোষণা বাতিল করেছেন অ্যারিয়ানা গ্রান্ডে। তার আরো কয়েকটি কনসার্টের কথা থাকলেও ম্যানচেস্টার হামলার পর তিনি ফ্লোরিডায় ফিরে গেছেন।