যুক্তরাজ্যের সীমান্তে কড়াকড়ি শুরু হবে ২০১৯ সালে

ইউরোপীয় ইউনিয়নের নাগরিকদের যুক্তরাজ্যে অবাধ যাতায়াত দু’বছরের মধ্যে বন্ধ হয়ে যাবে। যুক্তরাজ্যের অভিবাসন বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ব্রেন্ডন লুইস এ তথ্য জানিয়েছেন। খবর বিবিসির।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০১৯ সালের মার্চের মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নাগরিকদের যুক্তরাজ্যে অবাধ যাতায়াত বন্ধ করে দেয়া হবে। গত বছর ব্রেক্সিটের ওপর গণভোটের অন্যতম প্রধান ইস্যুই ছিল অবাধ যাতায়াত বন্ধ।

যুক্তরাজ্যের অভিবাসন প্রতিমন্ত্রীর এই ঘোষণা এমন এক সময়ে আসলো, যখন ইউরোপীয় ইউনিয়নের অভিবাসীদের মাধ্যমে যুক্তরাজ্য কতখানি উপকৃত হচ্ছে বা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তা খতিয়ে দেখার জন্য সরকার একটি সমীক্ষা চালানোর আদেশ দিয়েছে।

ব্রেক্সিটের ছয় মাস আগে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এই সমীক্ষার ফলাফল জানা যাবে। বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ব্রেন্ডন লুইস ব্যাখ্যা করেছেন, ব্রেক্সিটের আগে যুক্তরাজ্য কেন এই সমীক্ষা চালাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, মাইগ্রেশন অ্যাডভাইজারি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাদের দায়িত্ব হবে শ্রম বাজারের প্রয়োজন সম্পর্কে সরকারকে জানানো, ইইউ মাইগ্রেশনের প্রভাব কী হতে পারে তা খতিয়ে দেখা। যার ওপর ভিত্তি করে সরকার ভবিষ্যতে তার নীতিমালা তৈরি করতে পারে।

তবে ব্রেক্সিটের পর অভিবাসন কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে সে সম্পর্কে পরিষ্কারভাবে কিছুই বলতে রাজি হননি তিনি। তবে চলতি বছরের শেষ নাগাদ সরকার এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবে বলে জানান তিনি।

ব্রিটেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের অংশ হয়ে থাকবে কি না, তার ওপর গত বছর যে গণভোট হয়, তার একটি মূল বিষয় ছিল অভিবাসন।

ব্রেক্সিট নিয়ে দর কষাকষি চলার ওই সময়েই সরকারের মন্ত্রীরা বলেছেন, যুক্তরাজ্যের সীমান্তের নিয়ন্ত্রণ তারা নিজেদের হাতে নিতে চান।

বর্তমানে প্রতিবছর প্রায় আড়াই লক্ষ অভিবাসী যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করে। সরকার সেটাকে কয়েক হাজারে নামিয়ে আনতে চায় বলেও জানান তিনি।