যেখানে ন্যায়বিচার নেই, সেখানে প্রতীক থাকবে কীভাবে?

গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার বলেছেন, যে দেশে ন্যায়বিচার নেই, সেখানে ন্যায়বিচারের প্রতীক থাকবে কীভাবে? সুপ্রিম কোর্টের সামনের ভাস্কর্যটি নিয়ে সরকার নোংরা রাজনৈতিক খেলায় নেমেছে।

শুক্রবার সন্ধ্যায় মশাল মিছিল শেষে এক প্রতিক্রিয়ায় ইমরান এইচ সরকার এসব কথা বলেন। সুপ্রিম কোর্টের ভাস্কর্য সরানোর প্রতিবাদে সকালে এই প্রতিবাদী মশাল মিছিলের ডাক দেয় গণজাগরণ মঞ্চ। মিছিলটি শাহবাগ থেকে শুরু হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) ঘুরে আবার শাহবাগে এসে শেষ হয়।

ইমরান এইচ সরকার বলেন, প্রতিদিন খুন, ধর্ষণ, অবিচার বেড়েই চলছে। জনগণের সম্পদ লুটে খাচ্ছে দুর্নীতিবাজ কর্তৃপক্ষ। বিদেশে পাচার হচ্ছে জনগণের কষ্টার্জিত অর্থ। নারায়ণগঞ্জে গডফাদারের নির্দেশে শিক্ষককে অপদস্থ করা হচ্ছে। অথচ তার কোনোটিরই বিচার হচ্ছে না।

গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র বলেন, এসব থেকে জনগণের চোখ ফিরিয়ে রাখতেই মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিকে পূঁজি করে ধর্মকে রাজনৈতিকভাবে আত্মরক্ষার ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে সরকার। ধর্মকে রাজনীতির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। জনগণকে প্রতারণা করে অপশাসন আড়াল করতে ধর্মের এই ব্যবহার একই সঙ্গে রাজনীতি ও ধর্ম দুটিকেই কলুষিত করছে। তিনি আরও বলেন, সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে ভাস্কর্য থাকবে কি থাকবে না, সেটা দেখার অধিকার বিচার বিভাগের। অথচ হেফাজতের মতো গোষ্ঠীগুলোকে মূলধারায় এনে সরকার তাদের দাবি বাস্তবায়ন করে বিচার বিভাগের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করছে।

আগামী সাত দিনের মধ্যে মূল নকশার ভাস্কর্য স্থাপন করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান ইমরান। তিনি বলেন, জনগণকে ভুল দ্বন্দ্বে ব্যস্ত রেখে নিজেদের আখের গোছানোতে ব্যস্ত সরকার। অপশাসন, অনিয়ম, দুর্নীতির বিরুদ্ধে যেন জনগণ সোচ্চার হতে না পারে, মানুষ যেন অধিকার সচেতন হতে না পারে, সে জন্য মুক্তিযুদ্ধ-পূর্ববর্তী শোষকদের মতো ধর্মের অপব্যবহার করে জনগণকে বিভক্ত করা হচ্ছে।

রাজনীতিতে ধর্মের এই ব্যবহার মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্ক্ষা ও মূলনীতির পরিপন্থী উল্লখ করে ইমরান বলেন, ধর্মকে রাজনীতিতে ব্যবহারের এই নোংরামি বাংলাদেশকে পাকিস্তানি অন্ধকার সময়ের দিকে পিছিয়ে নিয়ে যাবে।