যে কারণে অন্তরঙ্গ দৃশ্যের আগে চিৎকার করেন কৃতি!

রঙ্গিন পর্দায় অন্তরঙ্গ দৃশ্য থাকবে এটাই স্বাভাবিক। ইদানিং অন্তরঙ্গ দৃশ্য যেন সিনেমার অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর চরিত্রের দাবি মেনে ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অভিনয়ও করতে হয় অভিনেত্রীদের৷ এমনিতেই ক্যামেরার সামনে সমস্ত অনুভূতি অকপটভাবে তুলে ধরতে হয় তাদের৷ মানুষের যাবতীয় অনুভূতি এমনভাবে তারা মুখের রেখায় ফুটিয়ে তোলেন, যা প্রভাবিত করে দর্শকদেরও৷ তার উপর যদি ঘনিষ্ঠ বা অন্তরঙ্গ কোনও দৃশ্য হয় তবে তো কথাই নেই৷ কেননা রসায়ন গাঢ় না হলে যতই রূপালি পর্দা হোক, আর যতই গ্ল্যামার থাকুক পুরোটাই মেকি মনে হয়৷ তাই যতটা স্বাভাবিক সম্ভব ততটাই অন্তরঙ্গ হয়ে ওঠেন তারা পর্দায়৷ কিন্তু তা করতে গিয়ে কেন চিকার করেন অভিনেত্রী কৃতি শ্যানন।

সম্প্রতি নিজেই এ কথা জানিয়েছেন কৃতি। ‘রবতা’ সিনেমায় সুশান্ত সিং রাজপুতের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা নিয়ে নানা আলোচনা হয়েছে৷ এমনকী বিচ্ছেদের পর সুশান্তর অভিনেত্রীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা দেদার গসিপেরও জন্ম দিয়েছে৷ কিন্তু সহ-অভিনেতার সঙ্গে যত অন্তরঙ্গতাই থাক, ক্যামেরার সামনে কোনও ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে দাঁড়ানোর আগে যদি চিৎকার করেন অভিনেত্রী, তাহলে বিষয়টা কেমন দাঁড়ায়?

কৃতি জানান, সময়ের দাবি মেনেই সব ধরনের দৃশ্যে অভিনয় করতে তিনি পটু৷ ঘনিষ্ঠ দৃশ্য বা যে কোনও কঠিন দৃশ্য এলেই তিনি তার মোবাইল ভ্যানে চলে যান৷ তারপর চিৎকার করে নিজের সব টেনশন ঝেড়ে ফেলে দেন৷ এরপর থেকেই ক্রমশ চরিত্রে ঢুকে পড়েন তিনি৷ চরিত্রের ঠিক যা দাবি, তা মেনে অন্য একটা মানুষ হয়ে ওঠেন তিনি৷ যে মানুষটাকে দেখা যায় পর্দায়৷ আর তাই এটাই তার অস্ত্র৷ যে কোনও অন্তরঙ্গ দৃশ্যের আগে তিনি চিৎকার করেই নিজেকে তৈরি করেন৷ এমনকী ‘দিলওয়ালে’র মতো মাল্টিস্টারার ছবিতে কাজ করার সময়ও নিজের এই পদ্ধতি কাজে লাগিয়েছেন তিনি৷