যে কারণে পেঁপে খাবেন

পাকা পেঁপে বারো মাসই পাওয়া যায়। দেখতে সুন্দর, খেতে মিষ্টি এই ফলটির রয়েছে বেশকিছু উপকারিতা। পুষ্টিগুণ বিবেচনায় এটি একটি মূল্যবান ফল। এর বৈজ্ঞানিক নাম Carica Papaya. পেঁপের আরেক নাম পাওয়ার ফ্রুট। কারণ, এতে রয়েছে অনেক রোগের নিরাময় ক্ষমতা। এর পেপেইন নামের উপাদান আমিষকে হজম করে সহজেই এবং পরিপাক তন্ত্রকে পরিষ্কার করে। এটি ওজন কমাতেও বেশ সহায়ক।

আপেলের চেয়ে পেঁপেতে তেরগুণ বেশি ভিটামিন ‘সি’ এবং দ্বিগুণ পরিমাণ বেশি পটাশিয়াম বিদ্যমান। আপেল ও কমলার চেয়ে পেঁপেতে ভিটামিন ‘ই’-এর পরিমাণও চারগুণ বেশি। ১০০ গ্রাম পেঁপেতে ক্যালসিয়াম ১৭ মি.গ্রা., ফসফরাস ১৩ মি.গ্রা., আয়রন ০.৫ মি.গ্রা., ভিটামিন ‘সি’ ৫৭ মি.গ্রা. এবং সামান্য ভিটামিন ‘বি’ কমপ্লেক্সও রয়েছে। স্বাস্থ্য সুরক্ষায় এসব উপাদান গুরুত্বপূর্ণ।

পুষ্টি বিবেচনায় পেঁপে অনেক ফলের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে। কমলার চেয়ে পেঁপেতে ৩৩ শতাংশ বেশি ভিটামিন ‘সি’ এবং ৫০ শতাংশ বেশি পটাশিয়াম রয়েছে।ওজন কমাতে পেঁপে বেশ সহায়ক।অন্যান্য ফলের তুলনায় পেঁপেতে ক্যারোটিন অনেক বেশি থাকে। কিন্তু ক্যালরির পরিমাণ অনেক কম থাকায় যারা মেদ সমস্যায় ভুগছেন তারা অনায়াসে খেতে পারেন এ ফলটি।

পাকা পেঁপে কোষ্ঠকাঠিন্য সারাতে সাহায্য করে। প্রচুর আঁশ ও ক্যারোটিন থাকায় এটি অন্ত্রের ক্যানসারের ঝুঁকিও কমায়। পেঁপে হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়। প্রতিদিন দুই কাপ পেঁপে খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো।

এই ফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ ও সি আছে যা শরীরের জন্য অনেক বেশি দরকারী। পেঁপেকে বলা হয় পুষ্টি উপাদানের ‘রাজভাণ্ডার’। হজমকারী হিসাবে পেঁপে খুবই জনপ্রিয়।

পেঁপে ব্লাড প্রেসার ঠিক রাখার পাশাপাশি রক্তের প্রবাহকে নিয়ন্ত্রণ করে। এমনকি শরীরের ভেতরের ক্ষতিকর সোডিয়ামের পরিমাণকেও কমিয়ে দেয়। ফলে হৃদরোগের সমস্যা থেকে সহজেই মুক্তি পাওয়া যায়। একারণেই হৃদরোগীদের সবসময় পেঁপে খেতে বলা হয়।