যে কারণে প্রেমিককে খুন করলো প্রেমিকা!

ভালবাসার মানুষকে খুন, তাও আবার সামান্য একটা কারণে। হ্যাঁ এমন এক ঘটনা ঘটেছে শনিবার (১৯ আগস্ট) ভারতের রাজধানী দিল্লির দক্ষিণাঞ্চলীয় উত্তম নগরে। প্রেমিকা নির্দয়ভাবে কুপিয়ে হত্যা করেছে তার প্রেমিকাকে। কিন্তু কারণটা কি? জানলে আপনিও অবাক হবেন।

রাতের খাবার রান্না করবে কে- সামান্য এ বিষয়টা নিয়ে ওই প্রেমিক যুগলের মধ্যে দ্বন্দ্ব এত ভয়াবহ আকার ধারণ করলো যে, দুজনের মধ্যে ঝগড়ার এক পর্যায়ে ৩০ বছর বয়সী প্রেমিক ইজুকে কুপিয়ে হত্যা করেছে ২৮ বছরের প্রেমিকা এলভি উজুম্মা।

ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, নাইজেরীয় নাগরিক ইজু এবং তার প্রেমিকা এলভি উজুম্মা দিল্লির দক্ষিণাঞ্চলীয় উত্তম নগরেই থাকতেন। ঘটনার দিন তাদের মধ্যে রাতের খাবার রান্না করা নিয়ে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। দ্বন্দ্ব এমনই এক পর্যায়ে পৌঁছায় যে ইজুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে বেশ কয়েকটি আঘাত করে উজুম্মা। পরে হাসপাতালে নেয়া হলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করে।

দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, ইতোমধ্যে তারা অভিযুক্ত নারীকে গ্রেপ্তার করে তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেছে। পুলিশের ভাষ্যমতে, শনিবার (১৯ আগস্ট) বিকেলে ইজুকে বাসায় আসতে বলে উজুম্মা। পরে ইজু বাসায় ফিরলে রান্না করা নিয়ে হঠাৎ তাদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। প্রথমে বিষয়টি প্রতিবেশিদের হস্তক্ষেপে হস্তক্ষেপে শান্ত হলেও পরে তারা চলে যাবার পর তাদের মধ্যে এ নিয়ে মারামারি শুরু হয়।

উজুম্মা পুলিশকে জানিয়েছেন, শনিবার (১৯ আগস্ট) বিকেলে ইজুকে বাসায় আসতে বলি । পরে রাতের খাবার কে রান্না করবে- এ নিয়ে প্রথমে তাদের ঝগড়া শুরু হয়। উজুম্মা দাবি করেন, ইজুই প্রথম ওই ঝগড়া শুরু করে। এক পর্যায়ে তাকে ভয় দেখাতে ছুরি হাতে নেন উজুম্মা। পরে ইজু তার ওপর হামলা করলে নিজের প্রেমিককে কয়েকবার ওই ছুরি দিয়ে আঘাত করেন এই নারী।

উজুম্মা আরো জানায়, ইজুকে আঘাত করে নিজের কক্ষে দরজা বন্ধ করে বসে থাকেন তিনি। ‘আধাঘণ্টা পর আমি তার অবস্থা দেখার জন্য যাই, কিন্তু রক্তপাত দেখে ভয় পেয়ে যাই এবং বন্ধুদের খবর দেই। পরে সবাই মিলে ইজুকে হাসপাতালে নিয়ে যাই। কিন্তু ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ইজুর মৃত্যুর খবর শুনে উজুম্মা বাড়ি ফিরে এসে নিজের ঘরে দরজা বন্ধ করে বসে থাকে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে গিয়ে দরজা ভেঙে ঘরের ভেতর প্রবেশ করে ওই নারীকে গ্রেপ্তার করে।

ওই বাড়ির কেয়ারটেকার বিজয় জানিয়েছেন, কয়েক মাস ধরেই উজুম্মা এই বাড়িতে বাস করছিলেন। প্রায় তার প্রেমিক তাকে দেখতে আসতো।