যে কারণে মমতাজের বাসায় চঞ্চল চৌধুরী

নাট্যকার বৃন্দাবন দাসের স্ত্রী ও ছোট পর্দার অভিনেত্রী শাহনাজ খুশী একটি ছবি আপলোড দিয়েছেন তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে। ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘কাজ থেকে দূরে, আড্ডা অবসরে’। চঞ্চল চৌধুরীর তোলা সেলফিতে হাসিমুখে ধরা দিয়েছেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ও সাংসদ মমতাজ, তার স্বামী মঈন হাসান চঞ্চল, বৃন্দাবন দাস ও শাহনাজ খুশী। নাটকের সাজানো সেট আর মেকআপ ছাড়া এমন ঘরোয়া পরিবেশ ও নির্মল হাসিতে তাদের সাধারণত দেখা যায় না। ছবিটি বেশ পছন্দ করেছে শাহনাজ খুশীর ফেসবুক বন্ধুরা।

কবে, কোথায়, কেন এমন ঘরোয়া আড্ডার আয়োজন, তা জানতে চেয়ে আনেকে কমেন্ট করেছেন। চঞ্চল চৌধুরী বলেন, ‘এটা একটা ঘরোয়া আড্ডা। আমরা প্রায়ই এমন আড্ডা দেই। কাজের একঘেয়েমি আর নাগরিক ব্যস্ততা থেকে একটু ফুসরত পেলেই আড্ডা জমে ওঠে। কখনো বৃন্দাবন দাসের বাড়িতে। কখনো মমতাজের বাসায়। এটা তেমনই এক আড্ডার ছবি।’

শাহনাজ খুশী চ্যান বললেন, ‘ঈদের পরদিনের ছবি এটা। মমতাজ আপা ঈদের দিন ঢাকা ছিলেন না। ঢাকা ফিরেই ফোন দিলেন। বললেন, “খুশী, হয় আমার বাসায় চলে আসো, নয়তো তোমার বাসায় আমরা আসি।” আমরা সবাই তখন তিনশ ফিট এলাকায় ছিলাম। সবাই চলে গেলাম মমতাজ আপার বাসায়। জমজমাট আড্ডা হলো। গান হলো। খাওয়া দাওয়া হলো। ছবি তোলা তো হলোই।’

এমন আড্ডা মাঝে মাঝেই হয়, জানালেন খুশী। তিনি বলেন, ‘আমরা একটু ফুসরত পেলেই আড্ডায় বসে যাই। কখনো আমার বাসায়, কখনো মমতাজ আপার বাসায়। চঞ্চল চৌধুরী থাকে। মমতাজ আপার পরিবার, মেয়েরা থাকে। আমার ছেলেরা থাকে। মমতাজ আপার গানের পরিবার থাকে। সব মিলিয়ে চমৎকার পারিবারিক আড্ডা হয়। আমার বাসায় আড্ডা হলে আমি নিজে রান্না করে সবাইকে খাওয়াই।’

শাহনাজ খুশির হাতের রান্না নাকি মমতাজ আর তার স্বামীসহ সবার বিশেষ পছন্দ। তাদের কারও জন্মদিন, বিবাহবার্ষিকী বা এমন কোনো অনুষ্ঠান থাকলে আড্ডা নিশ্চিত, জানালেন ছোট পর্দার এই অভিনেত্রী।

শাহনাজ খুশী আড্ডার স্মৃতি যোগ করে বললেন, ‘এর আগে কাতার গিয়েছিলাম একটা অনুষ্ঠানে। মমতাজ আপার সঙ্গে। অনুষ্ঠান শেষ করে আমরা মমতাজ আপার রুমে আড্ডায় বসে যাই। আপা ডুগডুগি হাতে নিয়ে সারারাত গান গাইলেন। আমাদের আড্ডা শেষ হতে হতে সকাল হয়ে যায়। মমতাজ আপার যেমন বিরাম নেই গান গাওয়ায়, তেমনি আমাদের আগ্রহের শেষ নেই গান শোনায়।’