যে দ্বীপে যেতে পারেন বিয়ের জন্য

জন্ম, মৃত্যু, বিয়ে বিধাতার হাতে বলে মানুষজন সচরাচর বলে আসছেন। সবসময়ই এই তিনটি সময়কে ঘিরে সাজানো হয় নানারকম আয়োজন। নানা রকম প্রথা গড়ে উঠেছে এগুলোকে কেন্দ্র করে। তবে প্রত্যেকটিকে নিয়ে মানুষের মাতামাতি থাকলেও সবচাইতে আড়ম্বড়তা আর ভাবনা থাকে বিয়ে নিয়ে।

কোথায় করা হবে, কী পরা হবে, খাবার-দাবার, মেহমান সবকিছুতেই থাকে তোড়জোর। তবে যেভাবেই হোক নিজের এই বিশেষ দিনটিকে সবসময়ই স্মরণীয় করে রাখতে চান সবাই। অনেক অদ্ভূত সব কাণ্ড করে বসেন।

ভাবুন তো একবার, আপনার বিয়ের জায়গাটি সম্পর্কে। কোথায় সাজাতে চান আপনি আপনার স্বপ্নের বিয়ের আসর? ভূমধ্যসাগরীয় দ্বীপগুলোর মধ্যে তৃতীয় বৃহত্তম দ্বীপ সাইপ্রাসে হলে কেমন হয়? মন্দ না নিশ্চয়ই। দ্বীপটিকে বলা হয় দেবী আফ্রোদিতির জন্মস্থান। সৌন্দর্যের দেবী হিসেবে অনেকেই মানেন আফ্রোদিতিকে।

আর এই দ্বীপও অসামান্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য নিয়ে দুহাত মেলে দাঁড়িয়ে আছে। যার ডাকে সাড়া দিয়ে প্রতিবছর বহু পর্যটক দ্বীপটিতে ছুটে যান। তবে বিশেষ বিয়ের জন্য মানুষজন সেখানে বেশি যান।

ইসরায়েল এবং লেবানন থেকে প্রতি বছর প্রায় তিন হাজেরর বেশি প্রেমিক-প্রেমিকা শুধু বিয়ে করার জন্য দ্বীপটিতে আসেন। সেখানকার অসম্ভব রোমান্টিক পরিবেশই শুধু নয়, সেইসঙ্গে এখানে বিয়ের খরচও অনেক কম।

লেবানন এবং ইসরায়েলের মতো দেশগুলোতে বিয়ে করাটা ইদানীংকালে খুবই ঝক্কি-ঝামেলার ব্যাপার। দেশগুলোর আইনে সামাজিক বিয়ে নিয়ে রয়েছে নানা সমস্যা। সেই তুলনায় কোনও ঝামেলাই পোহাতে হয় না সাইপ্রাসে বিয়ে করতে গেলে। বিয়ের জন্য সময়ও লাগে মাত্র ১৫ মিনিট।

শুধু মধ্যপ্রাচ্যের প্রেমিক প্রেমিকারাই নন, কম খরচে বিয়ে করতে এখানে পাড়ি জমাচ্ছেন বিভিন্ন দেশের হবু বর-বউরাও।

আপনি যদি বিয়ে না করে থাকেন; সঙ্গী বা সঙ্গিনীকে দিতেই পারেন দ্বীপটিতে বিয়ের আয়োজন সেরে ফেলার প্রস্তাব। তাছাড়া শুধুই বিয়ে তো নয়, সঙ্গে থাকছে সাইপ্রাসের রোমান্টিক পরিবেশে হানিমুনটাও সেরে আসার সুবর্ণ সুযোগ।