যৌননির্যাতনের শিকার হয়ে, বাড়ি ফেরা হয়নি আজও

সমাজের বস্তবতায় নারী যেন আজ ভোগ্যপণ্য! নারীদের প্রতিনিয়তই নির্যাতনে শিকার হতে হচ্ছে। তেমনি একজন যিনি মাত্র চার বছর বয়সেই যৌন নির্যাতনে শিকার হতে হচ্ছে। বলছিলাম আফগানিস্তানের তরুণী কুবরা খাদেমির কথা। যিনি ২০১৫ সালে একাই বর্ম পড়ে দেশটির রাস্তায় নেমেছিলেন, সমাজের এহেনে অবস্থার বিরুদ্ধে। তার পরেই তাকে বিভিন্ন হুমকি ধামকির মুখে দেশ ছেড়ে প্যারিসে পাড়ি জামাতে হয়েছে।

তিনি এখন বিখ্যাত পারফর্মিং আর্টিস্ট। আজও ভুলতে পারেননি ছোট্ট বেলার সেই স্মৃতি। ছোট্ট মেয়েটিকে রাস্তার মধ্যেই আচমকা এক পুরুষ আক্রমণ করে। ওর নরম শরীরটাকে ভোগ করতে চায়। কোনও রকমে ছিটকে বেরিয়া যায় সেই ফুলের মতো মেয়েটা।


ভিনদেশে কুবরা

কিন্তু সেই দিনই মনের মধ্যে এক প্রতিশোধের স্পৃহা তৈরি হয়ে যায়। সেই বয়সেই কি মনে মনে কুবরা খাদেমি লোহার অন্তর্বাস বানানোর পরিকল্পনা করে ফেলেছিলেন! সত্যিই যেদিন বর্ম পরে প্রকাশ্য রাস্তায় ঘুরেছিলেন কুবরা সে দিন বলেছিলেন, ‘ছোট বেলাতেই আমার অন্তর্বাস লোহার হলে ভাল হতো।’

কুরবার অভিযোগ ছিল, বার বার প্রকাশ্যে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে। লাহোর থেকে কাবুলে এসেছিলেন ফাইন আর্টস-এর প্রবেশিকা পরীক্ষা দিতে এসেছিলেন। সেই বারেও ২০০৮ সালে ১৯ বছরের কুরবাকে রাস্তার মধ্যে শারীরিক নির্যাতন সহ্য করতে হয়। বুকের ভিতরে প্রতিবাদের আগুনটা আরও গনগনে হয়ে ওঠে। আর ২০০৫ সালে সেই প্রতিবাদই ভাষা হয়ে ওঠে বর্ম পরা একক মিছিলে। কাবুলের রাস্তায় ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫-র সেই মিছিলের পরে অনেক ব্যঙ্গ বিদ্রুপ সহ্য করতে হয়। প্রকাশ্যে। এর পরে প্রাণনাশের হুমকি আর তার পরেই চিরকালের মতো দেশ ছাড়তে হয় খাদেমিকে।