রমজানে রাজধানীতে বাস কম, ভোগান্তিতে যাত্রীরা

প্রথম রমজানে পর্যাপ্ত বাসের অভাবে রাজধানীতে চরম ভোগান্তিতে পড়ে ঘরমুখী মানুষ। রোববার সরকারি-বেসরকারি অফিস ছুটির পর দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করেও অনেক যাত্রী ইফতারের আগে গণপরিবহন পায়নি।

ভোগান্তির শিকার যাত্রীদের অভিযোগ, বেশির ভাগ বাস সিটিং হয়ে চলায় তাঁরা উঠতে পারেননি। প্রয়োজনের তুলনায় গণপরিবহনের অভাব ছিল। এ ছাড়া একই সময়ে অফিস ছুটি হওয়ায় দুর্ভোগে পড়ে তারা।

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, পবিত্র রমজান উপলক্ষে আজ সরকারি-বেসরকারিসহ বেশির ভাগ অফিস ছুটি হয়েছে একই সময়ে। এতে রাস্তায় বাড়তি মানুষের চাপ সামলাতে হিমশিম খায় নগরীর গণপরিবহন। প্রথম রোজায় পরিবার-পরিজন নিয়ে ইফতারে সামিল হতে শত কষ্ট সহ্য করে অনেকে ঘরে ফেরার চেষ্টা করেছে। রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে দীর্ঘ সময় ধরে যাত্রীদের দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে।

৫০ বছর বয়সী এক যাত্রী বলেন, ‘ক্যান্টনমেন্ট যাব, গাড়ি পাচ্ছি না। খুবই কষ্ট হচ্ছে।’
বিআরটিসি বাসে থাকা আরেক নারী যাত্রী বলেন, ‘অনেক ভিড়, ওঠা যায় না। সিটিং বাস নেই বললেই চলে।’

ভুক্তভোগীরা বলছেন, রমজানের আগে নতুন বাস নামানোর কথা ছিল। কিন্তু এখনো সেই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হয়নি। এ কারণেই বাড়তি চাপ হচ্ছে। রমজানে অন্তত সকালে ও অফিস ছুটির পরে গণপরিবহনের সিটিং সার্ভিস যেন রাখা না হয়।

এক যাত্রী বলেন, ‘বিআরটিসির অনেক বাস পড়ে আছে। সেগুলো বের করা হচ্ছে না। এগুলো দিলে আমাদের দুর্ভোগ কমে যেত।’

আরেক যাত্রী বলেন, ‘পুরো গাড়ি খালি। মানুষ যাওয়ার জন্য চেষ্টা করছে। কিন্তু কোনো বাসই থামাচ্ছে না। ওই গাড়িগুলোতে যদি দাঁড় করিয়ে ২০ থেকে ৩০ জন করে যাত্রী নিয়ে যেত তাহলে আমরা বাসায় গিয়ে ইফতারি করতে পারতাম।’

ঘরমুখী মানুষের দুর্ভোগ কমাতে এখনই পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়ে যাত্রীদের অনেকেই বলেন, রমজানের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে শপিংমলগুলোতে ঈদের কেনাকাটা শুরু হবে। ভোগান্তি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে।