রাখাইনে নতুন করে আরও ২০ ঘরে আগুন

নতুন করে আরো রোহিঙ্গা মুসলমানদের ঘর পুড়িয়ে দেয়ার ঘটনা ঘটেছে মিয়ানমারের রাখাইনে। শুক্রবার সকালে মংডুর কেইন চং গ্রামে ২০টি ঘরে অগ্নিসংযোগ করে মিয়ানমার বাহিনী ও স্থানীয় জনতা। তবে নতুন করে আবার সহিংসতার জন্য রোহিঙ্গা মুসলিমদেরকেই দায়ী করছে মিয়ানমার সরকার। সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়, নিরাপত্তাকর্মী সেখানে গিয়ে অগ্নিসংযোগের ঘটনা তদন্ত করছে এবং কারণ অনুসন্ধান করছে। তবে এর জন্য রোহিঙ্গাদেরকেই দায়ী বলে ইঙ্গিত করা হয়েছে।

এর আগে এইচআরডব্লিউ (Human Rights Watch) স্যাটেলাইটে তোলা জ্বালিয়ে দেয়া গ্রামের ছবি পর্যবেক্ষণ করে জানিয়েছিল, রাজ্যের প্রায় ২১৪টি গ্রাম সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দিয়েছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী। স্যাটেলাইটের ছবি পর্যালোচনা করে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ তাদের পর্যবেক্ষণে জানায়, মিয়ানমারের সেনাবাহিনী রাখাইন রাজ্যে বসবাসরত রোহিঙ্গাদের জাতিগতভাবে নির্মূল করছে।

একই দিনে বুথিডং-এ এক মসজিদের পাশে এ সময় একটি বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটেছে বলে জানা যায়। এর জন্য কোন সূত্র ছাড়াই আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) কে দায়ী করা হচ্ছে। মিয়ানমার সরকার বলছে, তারাই এ সন্ত্রাসী বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। তবে এতে কোন ধরণের হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছে তারা।

উল্লেখ্য, ২৫ আগস্ট রাখাইনে ছড়িয়ে পড়া সহিংসতায় এখন পর্যন্ত কয়েক হাজার রোহিঙ্গাকে হত্যার অভিযোগ ওঠে মিয়ানমার সরকারের বিরুদ্ধে। দেশটির সেনাবাহিনী ও স্থানীয় মগ জনতার অত্যাচারে নতুন করে ইতিমধ্যে ৪ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় জানিয়েছে। যদিও এ পরিস্থতির জন্য দেশটির সরকার দলীয় নেত্রী অং সান সু চি বলেন, তিনি জানেন না মিয়ানমারের মুসলমানরে কেন পাশের দেশে পালিয়ে যাচ্ছে। সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস