তীব্র যানজটে অতিষ্ঠ নগরবাসী

গাড়ির জন্য অপেক্ষা। কাঙ্ক্ষিত গাড়ি আসতেই তাতে হুড়মুড় করে ওঠার চেষ্টা অফিসগামী ও ঘরফেরত যাত্রীদের। কে কার আগে উঠতে পারেন যেন তারই পাল্লা চলছে।

রমজানে রাজধানীর রাস্তার এ চিত্র এখন প্রতিদিনকার। ভুক্তভোগী যাত্রীদের অভিযোগ, একে তো ভয়াবহ গরম ও রোজা, তারওপরে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাড়িয়ে থেকেও গন্তব্যে যাওয়ার গাড়ি না পেয়ে তাদের জীবন ওষ্ঠাগত।

বহুকষ্টে গাড়িতে উঠলেও যানজটের কারণে যাত্রীদের সঠিক সময়ে নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌছার কোন উপায় নেই। বিশেষ করে রোজা রেখে সকালে অফিসগামী ও বিকেলে ঘরফেরত যাত্রীদের সবচেয়ে বেশী ভোগান্তি পোহাতে হয় বলে অভিযোগ তাদের।

কোন কিছুতেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না ঢাকার যানজট। বিশেষ করে রমজান মাসে যানজটে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন নগরবাসী। যোগাযোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঢাকার সড়কগুলোতে লোকদেখানো উন্নয়নে যানজট তো কমছেই না, বরং যানজট কমানোর উপায়গুলোও সংকুচিত হচ্ছে। আর ট্রাফিক বিভাগ বলছে, রাস্তায় কয়েক গুণ বেশী গাড়ী চলার কারণে কোনোভাবেই তারা তা নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ঢাকায় পিক আওয়ারের যানজট নিরসনের জন্য ২০০৫ যে কৌশলগত পরিকল্পনা-এসটিপি হাতে নেয়া হয়েছিলো এখন পর্যন্ত তার একটিও বাস্তবায়ন না হওয়ায় দিন দিন ভোগান্তি বাড়ছে। পাশাপাশি যেসব উন্নয়ন হয়েছে তা ঢাকার যানজট আরো বাড়িয়েছে বলেও মনে করেন তারা।

ট্রাফিক বিভাগ বলছে, পিকআওয়ারের যানজট কমাতে হলে কারিগরি সহায়তার পাশাপাশি এ বিভাগে জনবল বাড়াতে হবে।